প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়

প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়

প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার সৌমেন্দু রায়। আজ সকাল ১১.৩০ টা নাগাদ তার সপ্তপর্ণির বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্য জনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনিয় সৌমেন্দু রায় সত্যজিত্‍ রায়ের চিত্রগ্রাহক হিসেবে বিশেষ ভাবে পরিচিত।

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গি আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়

সত্যজিত্‍ রায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন বহু কাজ করেছেন। কালজয়ী পরিচালকের সঙ্গে ‘তিন কন্যা’ ছবি থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। জাতীয় পুরস্কার-সহ একাধিক দেশি-বিদেশী সম্মানে সৌমেন্দু বাবুকে সম্মানিত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। বুধবার সকালে স্নান সেরে ওঠার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

 

১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন সৌমেন্দু। কেরিয়ারের শুরুর দিকে সত্যজিতের ছবিতে লাইট, ট্রলির কাজ সামলাতেন তিনি। তার পর সিনেম্যাটোগ্রাফির কাজ শুরু। ‘তিন কন্যা’র পাশাপাশি ‘অশনি সঙ্কেত’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-এর মতো অগুনতি ছবিতে কাজ করেন তিনি। সিনেম্যাটোগ্রাফির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন সৌমেন্দু। তাঁর প্রয়াণে ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া।

 

রূপকলা কেন্দ্রের সিনেম্য়াটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান ছিলেন সৌমেন্দু রায়। সত্যজিৎ সহ বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজের সময়কার খুঁটিনাটি তথ্য সংবলিত ডায়েরি, কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের কপি, শুটিং স্টিলের ডিজিটাল কপি তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ নামের একটি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন। যাতে তা গবেষকদের কাজে লাগে পরবর্তী সময়ে। তার উপর একটি ৭২ মিনিটের তথ্যচিত্রও নির্মান করেছিলেন অরিন্দম সাহা সরদার ২০০৭ সালে, নাম ‘সৌমেন্দু রায়’। তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ নামের একটি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন। যাতে তা গবেষকদের কাজে লাগে পরবর্তী সময়ে। তার উপর একটি ৭২ মিনিটের তথ্যচিত্রও নির্মান করেছিলেন অরিন্দম সাহা সরদার ২০০৭ সালে, নাম ‘সৌমেন্দু রায়’।

 

জানা যাচ্ছে, বিয়ে করেননি সৌমেন্দুবাবু। দাদার সঙ্গেই থাকতেন। আর মেতে থাকতেন সিনেমা, সিনেমা সংক্রান্ত পড়াশোনা আর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। বার্ধক্যজনিত সমস্যাতে ভুগছিলেন। বুধবার বেলা গড়াতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই কিংবদন্তি সিনেমাটোগ্রাফার। থেকে গেল তাঁর অবিষ্মরণীয় সব কাজ। বিয়ে করেননি সৌমেন্দুবাবু। দাদার সঙ্গেই থাকতেন। আর মেতে থাকতেন সিনেমা, সিনেমা সংক্রান্ত পড়াশোনা আর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। বার্ধক্যজনিত সমস্যাতে ভুগছিলেন। বুধবার বেলা গড়াতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই কিংবদন্তি সিনেমাটোগ্রাফার। থেকে গেল তাঁর অবিষ্মরণীয় সব কাজ।

en.wikipedia.org