তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ করলেন BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শুক্রবার রাতে তিনি বাঁকুড়ার জগদল্লা গ্রামে দলের এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। এদিনের সভা থেকে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নিশানা করেছেন সায়ন্তিকাকেও। কয়লা এবং বালির টাকা খাওয়ার জন্য তাঁকে বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন সৌমিত্র।
BJP-কে সাংসদকে তোপ দেগে অভিনেত্রীর মন্তব্য,“সৌমিত্র খাঁ বড় দাদার মতো। নিশ্চিই তিনি আমাকে ছোট বোনের মতো স্নেহ করেন।আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ পছন্দ করি না।কিন্তু,তিনি বাঁকুড়ায় রাজনীতি করছেন।একজন সহকর্মী হিসেবে আমার খারাপ লাগছে যে তাঁর মস্তিষ্ক এই অবস্থায় রয়েছে।অত্যন্ত গরমও পড়েছে।যদি তিনি চান আমি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে পারি।”
ঠিক কী বলেছেন সৌমিত্র খাঁ?
তিনি বলেন,“সায়ন্তিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে।কোথায় কী সিনেমা করেছে…কেউ পাঁচটা সিনেমার নাম বলতে পারবে না।শুধু একটা সিনেমা করেছে।আজ যখন গোটা কলকাতায় দেনা হয়ে গিয়েছে সেই সময় বাঁকুড়া জেলার কয়লা-বালির টাকা খাওয়ানোর জন্য এখন সায়ন্তিকাকে রাখা হয়েছে।এখান থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে।”পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন সৌমিত্র খাঁ।
পালটা সরব অভিনেত্রীও…
এদিকে সৌমিত্র খাঁয়ের পালটা সরব হয়েছেন সায়ন্তিকাও।আসলে সৌমিত্র খাঁ সকলকে নিজের মতো ভাবেন।তাঁদের ৩৬৫ দিন দেখা যায় না।তিনি টাকা তোলার জন্য বার হন।আমার তাঁর ভাবনা নিয়ে কিছু যায় আসে না।বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন সায়ন্তিকা এখানে কেন আসে।তাঁরাই বলে দেবে। অভিযোগ করাই সৌমিত্র খাঁয়ের কাজ।তিনি উন্নয়ন তো কোনও দিন করতে পারেননি।”
আরও পড়ুন – দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট! করমণ্ডলকাণ্ডের ১ মাসের মাথায় রেলের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
সৌমিত্র খাঁয়ের আক্রমণের পালটা কি আদালতে সায়ন্তিকা?
অভিনেত্রী বলেন,”সৌমিত্র খাঁ আমার নামে কী বললেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।মানুষের বাক স্বাধীনতা রয়েছে।আমি নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী।তাই আমি জানি তাঁর বাক স্বাধীনতা রয়েছে।”সায়ন্তিকা আরও বলেন,“BJP নেতারা কী বলছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ কারও উপর কোনও অভিযোগ করলে তা প্রমাণ হয়ে যায় না।সৌমিত্র খাঁ কী বলছেন তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার সময় আমার নেই।আমি এখন মানুষের কাছে যাচ্ছি।তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনছি।আগামীদিনে যাতে সেই সমস্যার সমাধান হয় সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”