যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করতে চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ

যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করতে চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে বহিষ্কার করতে চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। গত ২১ জানুয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল। হুগলির মূল বাসিন্দা কুন্তলের বিরুদ্ধে নদিয়ার পলাশিপাড়ার ধৃত তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল বিপুল পরিমাণ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তাপসের প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতেই কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তিনি ১৯ কোটিরও বেশি টাকা নিয়েছেন। যদিও কুন্তল দাবি করেছিলেন, সমস্তটাই তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’। তাপসের উপরেই তিনি সেই ‘ষড়যন্ত্র’-এর দায় চাপিয়েছিলেন। পাশাপাশিই বলেছিলেন, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রাজ্য তৃণমূল যুবর সাধারণ সম্পাদক কুন্তলকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছিল। যে হেতু সায়নী ওই সংগঠনের সর্বোচ্চ নেত্রী, তাই তাঁকেও ওই বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

 

 

 

এর আগে ইডি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। সেই সূত্রেই প্রশ্ন উঠেছিল, পার্থের মতো শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে যদি কঠিন পদক্ষেপ করা যায়, তা হলে কুন্তলের ক্ষেত্রে কেন এত সময় নেওয়া হচ্ছে? তবে একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে, গ্রেফতার হওয়ার পরেও অনুব্রত মণ্ডল এবং মানিকের বিরুদ্ধে এখনও দলীয় স্তরে পার্থের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

 

সম্প্রতি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে কুন্তলকে নিয়ে সায়নীকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সায়নীর জবাব শুনে মনে করা হয়েছিল, তিনি কুন্তলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার পরেই তিনি কুন্তলকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করে দলের শীর্ষনেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন –  হেনস্থা ছাড়া আর কিছুই নয় ,কোনও প্রমাণ নেই বললেন নওশাদ সিদ্দিকী

তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, কুন্তলকে তাঁর পদ থেকে সরানো তো বটেই, দল থেকে বহিষ্কারের অনুমতি চেয়ে দলের শীর্ষনেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন সায়নী। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের পাল্টা দাবি, এমন বিষয়ে কোনও চিঠিই সায়নী দলের শীর্ষনেতৃত্বকে দেননি।

(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top