উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা! সমুদ্রের তলায় চলে যাবে বিশ্বের বড় বড় শহর? আপনি এখন যেখানে বাস করছেন সেটি যদি কয়েক বছরের মধ্য়ে সাগরে ডুবে যায়? ভবেই কেমন শিউরে উঠলেন তাই না? খুব শীঘ্রই এমন হতে চলেছে। আর তার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (World Meteorological Organization) 2013 থেকে 2022 সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর গড়ে 4.5 মিমি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই জলস্তর (Sea Water) সব জায়গায় সমানভাবে বাড়ছে না। কোনও কোনও এলাকায় বেশি আবার কোনও এলাকায় কম বাড়ছে। এমনভাবে বাড়তে থাকলে কয়েক বছরের মধ্য়েই ডুবে যেতে পারে বড় বড় শহর। এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা (Scientists)। তারা জানাচ্ছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য় দায়ী মানুষ নিজেই। তাই এর ভয়াবহ ফলাফল সমস্ত জীবকুলকে ভোগ করতে হবে।
জলস্তর কত দ্রুত বাড়ছে?
WMO-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 1900 সাল থেকে সমুদ্রের জলের উচ্চতা দ্রুত বাড়ছে। 1993 থেকে 2002 সালের মধ্যে, গড় জলস্তর প্রতি বছর 2.1 মিমি বৃদ্ধি পেয়েছে। যখন 2003 থেকে 2012 সালের মধ্যে, গড় জলস্তর বার্ষিক 2.9 মিমি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, 2013 থেকে 2022 সালের মধ্যে, প্রতি বছর গড়ে 4.5 মিমি জলের স্তরের বৃদ্ধি ঘটেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা 1.5 ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে না দিলেও, আগামী দুই হাজার বছরে সমুদ্রের জলের উচ্চতা প্রতি বছর গড়ে 2 থেকে 3 মিটার বাড়বে। যার ফলাফল হবে ভয়াবহ।
আরও পড়ুন – অমিতাভের এগারোটা ফ্লপ ছবি! চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে দেবেন বলেই ভেবেছিলেন
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যে গতিতে বাড়ছে তা ছোট দ্বীপগুলির জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠছে। শুধু তাই নয়, ভারত, চীন, নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ এই দেশগুলির একটি বিশাল জনগোষ্ঠী উপকূলীয় অঞ্চলের আশেপাশে বসবাস করে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, মুম্বাই, সাংহাই, ঢাকা, ব্যাংকক, জাকার্তা, মাপুতো, লাগোস, কায়রো, লন্ডন, কোপেনহেগেন, নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, বুয়েনস আইরেস এবং সান্তিয়াগো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে। যা একটি বড় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক চ্যালেঞ্জও বটে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “সমুদ্রের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি ভবিষ্যতকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “সমুদ্রের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি শুধু নিজের জন্যই হুমকি নয়, এর অন্যান্য হুমকিও রয়েছে। যা পুরো পৃথিবীর উপর পড়বে।”