রাজু ঝা খুনে সামনে আসবে নতুন তথ্য! গোপন জবানবন্দি স্ত্রীর, রাজু ঝা খুনের মামলায় নাটকীয় মোড়। গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল রাজু ঝার স্ত্রীর। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজিএম আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। খুনের ঘটনার পেছনের একাধিক তথ্য সম্বন্ধে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে মৃতের স্ত্রী ঝা-কে হাজির করায় পুলিশ। সিটের তদন্তকারী অফিসার সিজেএমের কাছে মৃতের স্ত্রীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানোর জন্য আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর ষষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মৃতের স্ত্রীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কলকাতা আসার পথে শক্তিগড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। গাড়ি থাকা অবস্থাতেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাকে। এই ঘটনার সঙ্গে তিনজন জড়িত ছিল বলে মনে করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই তাঁকে খুন করা হয় বলে মনে করে পুলিশ।ঘটনার প্রায় ১৯ দিন পর এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও। এই রাজু ঝা গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজুর স্ত্রীকে এর আগে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাও করা হয় , তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পান তদন্তকারীরা। রাজুকে খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা তাঁর কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। পুলিশকে তিনি বেশ কিছু তথ্য দেন। তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। তাঁর গোপন জবানবন্দির পর এই খুনের তদন্তে নতুন দিক খুলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ গিরি এবং লালুবাবু কুমারকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত ছিল। বৃহস্পতিবার তাদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ ফুরালে আদালতে পেশ করে পুলিশ। পুনরায় তাদের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত,ধৃত দুজনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে
আরও পড়ুন- ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যে রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত নীল ও সাদা গাড়ির সম্বন্ধে ধৃত দুজনের কাছ থেকে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এই দুজনের থেকে গহনার এক মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও জানতে পারে তদন্তকারী আধিকারিকরা।