‘বাংলায় এখনই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই’, দাবি তুলল বিজেপি, কি বলছেন সুকান্ত মজুমদার ? বেলা যত বাড়তে থাকে, পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এমন একটা সময় আছে, কয়েক মিনিটের ব্যবধানেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুনের খবর আসতে আসে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য়ে ভোটের এক দিনের মৃতের সংখ্যা ১৭। । যদিও কমিশন বলছে, খাতায় কলমে মৃতের সংখ্যা ৩। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চিঠি লিখেছেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। সুকান্ত বলেন, “কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই এখুনি। সেটা ৩৫৫ হতে পারে , ৩৫৬ হতে পারে । কোনটা হবে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করুক। জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছি।” এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ৩৫৫ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে, কেন্দ্র রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নিজের হাতে নেবে। আর ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী, রাজ্য প্রশাসন চালাতে অক্ষম হলে, পুরো প্রশাসনিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে চলে যায়।
শুভেন্দু বলেছেন, দুটি পথ খোলা। এক, ‘কালীঘাট চলো’ , দ্বিতীয়ত ‘৩৫৬ কিংবা ৩৫৫ ধারা।’ এক পঞ্চায়েতের এত হিংসার পর কেন্দ্রের তরফে পরবর্তী কী পদক্ষেপ, সেটাই দেখার। যদিও শাসকদলের বক্তব্য, “উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। ৪৬টি বুথে ছোট হিংসার ঘটনা ঘটেছে।”
আরও পড়ুন – কোনটা বড় আর কোনটা ছোট ঘটনা , সাংবাদিক বৈঠকে বোঝাল তৃণমূল,
রাজ্যের ছ’জেলায় হিংসার জেরে প্রাণহানির অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিনে এত হিংসার দায়িত্ব কিন্তু কমিশনার শেষমেশ ঠেলেছেল রাজ্য পুলিশের ঘাড়েই। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখবার বিষয়টা পুলিশেরই দায়িত্ব। কমিশনের দায়িত্ব ভোটের ব্যবস্থাপনা। যেখানে কমিশনই দায় ঠেলছে রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে, সেখানে বিরোধীদের কী অবস্থান? রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুপুরেই বলে দিয়েছেন, অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কিছুটা অভিমানের সুরেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “দিল্লির কে কী ভাববে, অন্য কে কী বলবে, আমার জানার দরকার নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি। আমি একটা কারণে, একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছি। সেই লক্ষ্যে আমাকে যা করতে হয় করব। পতাকা ধরে কিংবা পতাকা ছেড়ে, টু সেভ ডেমোক্রেসি আমাকে যা করতে হয় করব।”