
তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক ( September ) সপ্তাহ ধরে হরিয়ানা ও দিল্লি সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সংগঠিত হতে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদী কৃষকদের। ইতিমধ্যেই ২৫ সেপ্টেম্বর ( September ) দেশ জুড়ে যে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠন ও আন্দোলনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। বাংলায় এই ধর্মঘটকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিল বামফ্রন্ট।
তবে, তৃণমূল কৃষকদের ওই ধর্মঘটে কী অবস্থান নেয়, সেই দিকে নজর রাখছে বাম নেতৃত্ব। এদিকে রাজনৈতিক সমীকরণের খাতায় ভোট পরবর্তী ( September ) বাংলায় অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে বাম-তৃণমূল শিবিরে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিতও দেখা গিয়েছে একাধিক বাম নেতৃত্বকে। এমতাবস্থায় কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ডাক ধর্মঘটে বামেদের সমর্থন মিললেও তৃণমূল কী অবস্থান নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
বাংলায় ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বনধ, ধর্মঘটে সাফ না করেছে মমতার সরকার। এমনকী বামেদের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ করতেও অতীতে সবরকমই চেষ্টা করেছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু বর্তমান শাসক দল ও অতীতের শাসক দলের মধ্যে বর্তমানে বরফ খানিক গললেও কৃষকদের ডাকা ধর্মঘটে কী অবস্থান নেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আলোচনা করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আর ও পড়ুন এখন ভূতেরা ( Ghosts ) টেক্সট মেসেজ পাঠায় !
শুরু থেকেই কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী প্রতিবাদী কৃষকদেরও দিয়েছে সমর্থন। এবার বনধ সমর্থন করা হয় কিন এখন সেটাই দেখার। এদিকে বনধ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘কৃষক সংগঠনগুলির মোর্চা ২৫ সেপ্টেম্বর যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, তাকে আমরা সর্বাত্মক ভাবে সমর্থন করব।”
রাজ্যের শাসক দলের অবস্থান প্রসঙ্গে কৌতূহল প্রকাশ করা হলে সূর্যকান্ত বলেন, “তৃণমূল এখনও পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলনের পক্ষেই থেকেছে। ওই দিন তাঁরা কী ভূমিকা নেন, আমরা দেখতে চাই।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের শেষ থেকেই দিল্লি সীমান্তে একটানা চলছে কৃষক আন্দোলন। গত ১০ মাস ধরে চলা চলমান কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মূলত ডাকা হয়েছে বনধ।