আচমকাই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ, ক্লাসে বসে অসুস্থ হয়ে পড়ে অন্তত ২৪ জন পড়ুয়া,

আচমকাই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ, ক্লাসে বসে অসুস্থ হয়ে পড়ে অন্তত ২৪ জন পড়ুয়া, রাজধানী দিল্লির নারাইনার একটি স্কুলে আচমকাই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ। ক্লাসে বসেই অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলের অন্তত ২৪ জন পড়ুয়া। ছাত্রদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্কুলের পাশেই রেললাইন। সেই লাইনের আশপাশ দিয়ে গিয়েছে গ্যাস, জল প্রভৃতির লাইন। সেখানেই কোথাও লাইনে ত্রুটির জেরে গ্যাস বেরিয়ে এসেছে।

 

 

 

 

স্কুলের ৫০ মিটারের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে রেললাইন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই লাইন দিয়ে একটি ট্রেন যাচ্ছিল। সেই ট্রেনটি স্কুলের কাছাকাছি এসে থেমে যায়। সেখান থেকেই কি গ্যাসের গন্ধ স্কুলে ছড়াল? অন্য একটি অংশের আবার দাবি, ট্রেনের চাপে ভূগর্ভস্থ গ্যাসের পাইপলাইন ফেটে গিয়ে থাকতে পারে। সেটা থেকেও গ্যাস চুঁইয়ে বেরিয়ে এই কাণ্ড ঘটতে পারে। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) ঘনশ্যাম বনসল জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও নিশ্চিত ভাবে বোঝা যায়নি। গ্যাসের গন্ধের উৎসেরও এখনও সন্ধান মেলেনি। পুলিশ এ কথা বললেও দিল্লি পুরসভা অবশ্য রেললাইনের কাছ থেকে গ্যাস বেরনোর দাবি জানিয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন –   যাদবপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে ১০ ছাত্রকে ডাকা হলেও হাজিরা দিল না থানায়

 

 

 

 

 

টিফিন পিরিয়ড শেষে দিল্লির নারাইনা এলাকায় পুরসভার স্কুলে (নগর নিগম স্কুল) ক্লাস শুরু হয়েছিল। সেই সময় আচমকাই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। তড়িঘড়ি তাদের নিয়ে খোলা জায়গায় চলে আসেন শিক্ষকেরা। তার মধ্যেই একের পর এক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। দিল্লি পুরসভা(এমসিডি)-র তরফ জানানো হয়েছে, ১৯ জন পড়ুয়াকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের আচার্য শ্রী ভিক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র শেলি ওবেরয়। তিনি জানিয়েছেন, গ্যাস লিকের বিষয়টি বিশদে তদন্ত করে দেখবে ফরেন্সিক বিভাগ।