দিঘায় ৬ কুইন্টালের ‘হাঙর’, বাজারে আনতেই উৎসাহী জনতার ভিড়,তোলা হল সেলফি রইলো ভিডিও মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ‘হাঙড়’, ওজন প্রায় ৬ কুইন্টাল।যা দেখতে উচতে পড়ল ভিড়।তোলা হল দেদার সেলফি।ঘটনাটি ঘটেছে দীঘা মোহনায়।আর শুধু হাঙর মাছই নয়,মরশুমের প্রথম ইলিশও ধরা হয়েছে দীঘাতে।যার জেরে খুশি মৎস্যজীবীরা।
দিন কয়েক আগে আরও এক দানবাকৃতির মাছ এই দিঘা মোহনাতেই।জুন মাসের শেষের দিকে দিঘা মোহনায় ওঠে ৭০ কেজি ওজনের শংকর মাছ।সেই খবর চাউর হতেই বিশালাকার শংকর মাছ দেখতে সেখানে উপস্থিত ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।তাঁদের আগ্রহও ছিল চোখে পড়ার মতো।শুধু স্থানীয়রা নয় বিশালাকার মাছ দেখতে দিঘা মোহনার মাছ বাজারে ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছিল পর্যটকদেরও।জানা যায়,অন্যান্য দিনের মতো ওইদিনও মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা।মূলত ইলিশের খোঁজেই জাল ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রুপোলি শস্যের দেখা তেমন না পাওয়া গেলেও জালে ওঠে কই ভোলা ও বিশালাকার শংকর মাছ। অত বড় শংকর মাছ পেয়ে খুব স্বাভবিকভাবেই খুশি মাছ ব্যবসায়ীরা।এর ফলে বেশ লাভের মুখ দেখেন মৎস্যজীবীরা।
সেই ঘটনার ৩-৪ দিন পরেই দানবাকৃতির মাছকে ঘিরে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় উত্তর দিনাপুরের চোপড়ার দাসপাড়ার পীর সাহেব মোড় মাছ বাজারে।সেখানেও দূরদূরান্ত থেকে সেই মাছ দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।প্রয়োজন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সেই মাছ কিনেও নিয়ে যান তাঁরা।আর যিনি এই মাছ বাজার নিয়ে এসেছিলেন,অর্থাৎ সেই বিক্রেতা মাছটি বিক্রি করে হয়ে গেলেন মালামাল।বিশালাকায় এই মছকে ঘিরে মঙ্গলবার কার্যত সরগরম হয়ে উঠল উত্তর দিনাপুরের চোপড়ার দাসপাড়ার পীর সাহেব মোড় মাছ বাজার। মৎস্য ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম মাছ নিয়ে বাজারে উপস্থিত হন।সেটির ওজন ছিল ৮৬ কিলো।
আরও পড়ুন – নরকঙ্কাল উদ্ধারের পর ত্রিপুরেশ্বীর মন্দির লাগায়ো জলাশয় ব্যবহারে মন্দির কমিটির নিষেধাজ্ঞা জারি
জানা গিয়েছে,৬ কুইন্টাল ওজনের হাঙর মাছটি মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ার পর সেটিকে নিয়ে আসা হয় দিঘার মোহনা বাজারে।মাছটিকে রাখায় হয় একটি ট্রলিতে।আর সেটি দেখতে ভিড় জমান উৎসাহী জনতা।প্রায় সকলেই সেটির ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।কেউ কেউ তো মাছটির মুখ খুলিয়ে দাঁতের ছবিও তোলেন।এছাড়া সেলফিও তুলতে থাকেন তাঁরা। এদিকে দিঘায় বেড়াতে গিয়ে এই মাছের দর্শন উপড়ি পাওয়া পর্যটকদের কাছেও।