নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরি্প্রেক্ষিতে এবা বাংলায় এসে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার টানা ন’ঘণ্টা জেরা করে ইডি। ওই প্রসঙ্গ টেনে এদিন অভিষেক এবং তৃণমূলের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন ধর্মেন্দ্র। ‘ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি’ বলে।
আরও পড়ুনঃ ঝালদা পুরসভায় উপ-পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা
পাল্টা হিসেবে বাঁকুড়ায় দলেরই কর্মীদের হাতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের তালাবন্দির প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “মুখ বন্ধ রাখুন! আপনাদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না!”
ইডির ম্যারাথন জেরা শেষে বুধবার রাতে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনেই মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিষেক। ওই প্রসঙ্গ টেনে এদিন ধর্মেন্দ্র বলেন, “সারদা, নারদ থেকে শুরু করে কয়লা, গরু, চাল পাচার সব দুর্নীতিতে তৃণমূল জড়িত। বাংলার ক্ষমতায় এখন ভ্রষ্টাচারীরা। আপনার বাড়ি থেকে কোটি টাকার পাহাড় মিলবে, আর এজেন্সি ডাকবে না, তা কী করে হয়?” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি আইনি পথে কাজ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন কেন?”
পাল্টা প্রতিক্রিয়া ধেয়ে এসেছে তৃণমূল শিবির থেকে। দলের মন্ত্রী শশী পাঁজা পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেন, “অভিষেক ভীত সন্ত্রস্ত নন। আর এজেন্সি ডাকবে না, তা কী করে হয়?” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি আইনি পথে কাজ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন কেন?”
পাল্টা প্রতিক্রিয়া ধেয়ে এসেছে তৃণমূল শিবির থেকে। দলের মন্ত্রী শশী পাঁজা পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেন, “অভিষেক ভীত সন্ত্রস্ত নন। ইডি, সিবিআই ওকে যখনই ডেকেছে উনি গিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে বিজেপি চুপ কেন। শুভেন্দুকে তো ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির সোশ্যাল সাইটে সেসময় ওই ছবি আপলোডও করা হয়েছিল।”
গত মঙ্গলবার বিজেপিরই একাংশ কর্মীর হাতে বাঁকুড়ায় তালাবন্দী হতে হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন দলের কর্মীরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে ধর্মেন্দ্র প্রতি শশীর কটাক্ষ, “বাঁকুড়ায় তো আপনার মন্ত্রীকেই ঘরবন্ধ করে রাখল বিজেপি কর্মীরা। আপনাদের দলের মধ্যেই তো চরম অরাজকতা। দুর্নীতি আপনার মুখে মানায় না।”