মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী । আজ শুক্রবার বীরভূমেরই হাসন বিধানসভাতে যান সাংসদ শতাব্দী রায়। আর সেখানে পৌঁছতেই দফায় দফায় বিক্ষোভে পড়েন তিনি। একেবারে সাংসদের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। তাদের দাবি, দিনের পর দিন কেটে গেলেও রাস্তা তৈরি হয়নি। এমনকি একাধিকবার রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতির দেওয়া হলেও তা হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়াও আবাস যোজনায় বাড়ি, বার্ধক্যভাতা না-পাওয়া নিয়ে একাধিক ইস্যুতে এদিন সাংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
অস্বস্তিতে পড়ে যান সাংসদ। পরে শতাব্দী বলেন, মানুষের অভাব অভিযোগ শুনেছি। শীঘ্রই সেই মতো কাজ হবে। কার্যত একই অবস্থা দলের যুব নেতা দেবাংশুর। আজ শুক্রবার বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে যান তিনি। তা দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। তাঁদের সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যোগ দেন স্থানীয় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীও। একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও দেবাংশুর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এছাড়াও আবাস দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে যুব নেতার কাছে সরব হন গ্রামের মানুষ। আর তা নিয়ে পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে গ্রামেই ঢুকতে পারেননি যুব নেতা।
আরও পড়ুন – পৌরসভার উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি স্থাপন
এছাড়াও ডায়মন্ডহারবার, পুরুলিয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই ভাবে তৃণমূল নেতারা গ্রামের মানুষের বিক্ষোভের মধ্যে পড়ছে। অন্যদিকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে প্রচারে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন চিত্রাভিনেত্রী তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বাঁকুড়া-২ ব্লকের জুনবেদিয়ার বাগদী পাড়ার ঘটনা। বাঁকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার ও তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্ত্তীকে সঙ্গে নিয়ে ঐ এলাকায় যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়ন্তিকাদের হাতের কাছে পেয়ে এলাকার মহিলারা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। পরে সায়ান্তিকা জানান, ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ রয়েছে। শীঘ্রই স্থায়ী সমাধান করা হবে।