
গত পরশু মানে ১৭ আগস্ট ছিল প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন (Somen) মিত্রর মৃত্যু বার্ষিকী। একটা সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নির্বাচিত হন। ফলে তৃণমূলের অনেকের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক ছিলো।সম্পর্ক ছিলো তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। ফলে সোমেন মিত্রের মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সোমেন পত্নী শিখা (Sikha) মিত্রকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সেই কথোপকথনের পরেই বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি প্রত্যাবর্তনের রাজনীতি ঘটতে চলেছে রাজ্যে। যে তৃণমূল দল ও নেত্রীর প্রতি ক্ষোভ থেকে দল ছেড়েছিলেন সোমেন (Somen) ও শিখা (Sikha) , আবার সেই দলেই কি ফিরছেন?
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ছিলেন সোমেন মিত্র। শিখা (Sikha) ছিলেন শিয়ালদহের বিধায়ক। তবে তৃণমূলের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়। ২০১৪ পরবর্তী সময়ে দুজনেই দল ছেড়ে দেন। জানা যাচ্ছে, ১৭ তারিখ ফোন করে তৃণমূল নেত্রী সোমেন পত্নীকে সরকারের কোনও একটি কমিটিতে থেকে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। বলেন, কাজের মধ্যে থাকলে শরীর ও মন ভাল থাকবে। আপত্তি জানাননি শিখাও।
আর ও পড়ুন পরীমণির (Porimoni) জামিন আবেদন নাকচ করে আরও এক দিনের রিমান্ড
সোমেন (Somen) পুত্র রোহন মিত্র জানিয়েছেন, ‘অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নানরা অযোগ্য আমি আগেই বলেছি। এই কংগ্রেসের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। তৃণমূল নেত্রী মাকে ফোন করেছিলেন। নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়রা নিয়মিত মার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
এই ভোটের আগে কখন বিজেপি থেকে মায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল, মা বারণ করেন। তখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ মাকে ফোন করেছিলেন। রাজনৈতিক সম্পর্ক একটা সময় খারাপ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক অটুট ছিল।’
সোমেন মিত্রর পরিবারের তরফে জানানো হয়, তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগের পর অন্য কোনও দলে নাম লেখাননি শিখা। সোমেন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ভোটে দাঁড়ালেও সক্রিয় রাজনীতির বাইরেই ছিলেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীকে যে তিনি পছন্দ করেন, তাও জানিয়েছিলেন আগে।
তাই তৃণমূলে ‘যোগ’ নয়, প্রত্যাবর্তনের সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না সোমেনের পরিবার। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ফের জল্পনার পারদ চড়ছে।