
শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরনিগম শিলিগুড়িবাসীদের জন্য কোনো কাজ করছে না।”সেই কারণে শিলিগুড়ি পুরনিগমকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করল দার্জিলিং (Darjeeling) জেলা বামফ্রন্ট। মঙ্গলবার, বামেদের পুরনিগম অভিযান শেষে একথা বললেন বামনেতা অশোক ভট্টাচার্য। এদিন অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে থেকে তারা মিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্বে দেন অশোক ভট্টাচার্য,জীবেশ সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তারা সদলবলে এসে পুরনিগমের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
তাদের বক্তব্য ,আপাতত পুরনিগমকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেলাম এরপর এসে লাল কার্ড দেখাবো। কারণ এরা অনৈতিকভাবে পুরনিগম দখল করে আছে।পাল্টা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, ওদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে শহরের মানুষ। তাই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছিনা।
বামেদের অভিযোগ,শহরের মানুষ টিকা পাচ্ছেনা। যে ভাতা দেওয়া হতো গরীবদের তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর সময় পেরিয়ে গেলেও পুরনিগম নির্বাচন হয়নি।
অশোক ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একবছর হয়ে গেলেও নির্বাচন হলোনা। আইন না মেনে এই বোর্ড গঠন করেছে রাজ্য সরকার। আর তারা সুযোগ পেয়েও মানুষের জন্য কাজ করছেনা। তাই তাদের হলুদ কার্ড দেখিয়ে গেলাম। তবে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আগামীতে আইন অমান্য করে লাল কার্ড দেখিয়ে যাবো।
আর ও পড়ুন মুকুলের(Mukul) বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টে যাবেন শুভেন্দু (Suvendhu)
যদিও তাদের গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই শহরের মানুষ উনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। অশোক ভট্টাচার্যের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তাই ওদের এসব আন্দোলন করে কোনও লাভ নেই। কারণ মানুষের কাছে ওদের আর অস্তিত্ব নেই। আমাদের সরকার আইন মেনেই বোর্ড গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরনিগমের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নির্বাচন শেষে তৃণমূল ক্ষমতায় এসে গৌতম দেবকে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান করেন।