সেতু খোলার অনুমোদন নেওয়া হয়নি, বলছে মোরবি বিপর্যয়ের রিপোর্ট , পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট বলছে, সেতুর দু’টি তারের মধ্যে একটির ক্ষয়জনিত সমস্যা ছিল। যে কোনও সময়েই সেখান থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। পুরনো কেবল বা তারগুলি বদল করা হয়নি। গুজরাতের মোরবিতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ। এ বার বিশেষ তদন্ততকারী দল বা সিটের রিপোর্টে উঠে এল নতুন তথ্য। গত বছর ১৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটা মৌরবি সেতুর দু’টি প্রধান তার আগেই ক্ষয়ে গিয়েছিল। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আগেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল সেতুটি। গুজরাত সরকারের নির্দেশে তৈরি তদন্তকারী দল সেতু বিপর্যয়ের জন্য মূলত দায়ী করছে বরাত পাওয়া সংস্থাকে। অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতুর সংস্কারের দায়িত্বে।
গত বছরের ডিসেম্বরে জমা হয়েছিল সেতু বিপর্যয়ের প্রাথমিক রিপোর্ট। এখন সেটা মোরবি পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে, সংস্কারে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার থেকে শুরু করে যে ঠিকাদার সংস্থা সংস্কারের কাজ করেছিল, তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন। সেতুটির লোকধারণের ক্ষমতা কত, তা বিবেচনা না করেই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট এ-ও বলছে, সেতুর দু’টি তারের মধ্যে একটির ক্ষয়জনিত সমস্যা ছিল। যে কোনও সময়েই সেখান থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তদন্তকারীরা এ-ও বলছেন, সেতু সংস্কারের সময় পুরনো কেবল বা তারগুলি বদল করা হয়নি। অনেক তারেই মরচে পড়ে গিয়েছিল। সেই তারে রং করেই চকচকে রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেতুর ৪৯টি তারের মধ্যে ২২টিতে ক্ষয় দেখা গিয়েছিল। ২৭টি তার দুর্ঘটনার সময় ছিঁড়ে পড়ে।
আরও পড়ুন – পাইপগান, কার্তুজ সহ গ্রেফতার স্কুলছাত্র,আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে জড়িয়ে পড়ল মালদহের স্কুলছাত্র!
মোরবি ঝুলন্ত সেতুর তার পরিবর্তন করা হলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংস্কারের কাজে যে ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, সংস্কারের পর সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে বরাত পাওয়া ওরেভা সংস্থা সরকারি আনুমোদন নেয়নি।