সকাল সকাল ইয়েচুরির বাড়িতে পুলিশ, কেন, জানালেন তিনি নিজেই

সকাল সকাল ইয়েচুরির বাড়িতে পুলিশ, কেন, জানালেন তিনি নিজেই

মঙ্গলবার সাত সকালে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরির দিল্লির বাসভবনে পুলিশের হানা। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের আধিকারিকরা রেইড করেন সিপিএম নেতার সরকারি বাসভবন। সকাল সকাল কেন এই রেইড, এবার এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের কর্মসুচির দ্বিতীয় দিনে যন্তরমন্তরের সামনে কড়া নিরাপত্তা দিল্লি পুলিশের

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘আমার দিল্লির বাসভবনে পুলিশ রেইড করেছে। ওখানে আমি থাকি না। আমাদের একজন কমরেড সেখানে থাকেন। আমাদের দলের জন্য কাজ করেন। ওই কমরেডের ছেলে নিউজ ক্লিকের দফতরে কাজ করে। তাঁর ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কী কারণে তা জানি না। কোনও নথিপত্র নেই। পুলিশের কোনও বিবৃতি নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, সংবাদমাধ্যমের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর আগেও আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। সাংবাদিকরা জানেন কী ভাবে তা সামলাতে হয়। এবারও তাঁরা সামলে নেবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

 

প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত এক অভিযুক্ত সীতারাম ইয়েচুরির সরকারি বাসভবনে ঠাঁই পেয়েছেন বলে খবর রটে যায়। কেবলমাত্র CPIM-এর এই পলিটব্যুরো নেতার বাড়িই নয়, দিল্লির আরও ৩০টি এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। তালিকায় রয়েছেন দেশের তাবড় সাংবাদিক এবং লেখকরা। নিউজ ক্লিকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক জায়গায় ধরপাকড় চলছে। ভারত সরকারের স্ক্যানারে নিউজ ক্লিক সংবাদমাধ্যম। নিউ ইয়র্কে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক এই অনলাইন মিডিয়া পোর্টালটিতে বিনিয়োগ রয়েছে নেভিল রায় সিংঘম নামে এক মার্কিন মিলিয়নিয়রের। এই ধনকুবের চিনা প্রোপাগান্ডা চালায় বলেও অভিযোগ। ২০২১ সালে ভারতের তদন্তকারী এজেন্সিগুলি নানা সূত্র মারফত নিউজ ক্লিক সম্পর্কে একাশিক তথ্য পায়। এই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের আর্থিক বিভাগ একটি মামলাও দায়ের করে।

 

উল্লেখ্য, স্বীকৃত জাতীয় দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরির নামে দিল্লিতে একটি সরকারি বাসভবন বরাদ্দ রয়েছে। তবে তিনি সেখানে থাকেন না। বদলে সেই বাসভবনে রয়েছে সারা ভারত কৃষক সভার অফিস। কৃষক সভা এবং পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অফিসের কয়েক জন কর্মী ওখানে সপরিবারে বসবাস করেন। তাঁদের একজনের ছেলে নিউজক্লিকে কাজ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে। তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।

en.wikipedia.org