কোচবিহারে পুলিশের জালে ছয় তৃণমূল কর্মী, পুলিশি অভিযানে কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল ছয় তৃণমূল নেতা-কর্মীকে। পুলিশের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১১ রাউন্ড গুলি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছে বিজেপি। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতারা।
সোম এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চলে পুলিশি অভিযান। এ নিয়ে কোচবিহার জেলা l পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ জানিয়েছেন, গীতালদহের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশি জারি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘যে ভাবে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল বেড়েছে তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও সংঘর্ষ বাড়বে। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কোন নেতার হাতে থাকবে তা নিয়েই কোন্দল। কারণ পঞ্চায়েত কাটমানি রোজগারের জায়গা। সেই কারণেই এই জায়গা কেউ ছাড়তে রাজি নয়।’’
এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘যদি ধৃতদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়, যদি কারও থেকে গুলি পাওয়া যায়, তা হলে সে অপরাধী। তাঁদের কোনও দল হয় না। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
আরও পড়ুন – অভিষেকের সভার পর আর গোপন রইল না পছন্দের প্রার্থীর নাম, যেখানে সেখানে…
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গীতালদহে অভিযান চালিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সম্পাদক মণিরুল হাসান, অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ফিরদৌস আলি, আবু আল আজাদ, মিলন বর্মণ, সাজ্জাদ হোসেন নামে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবু আল আজাদ বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছিল। সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক প্রাক্তন সদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। রবিবার রাতে গীতালদহের জারিধরলা এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলেও অভিযোগ। সেই সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। সীমান্তবর্তী জারিধরলা এলাকায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁরা ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কিছু তির।