‘দিদি ডাকলেও ফিরব না’, তৃণমূলে আর ফিরতে চান না বললেন সোনালী ,সোনালী গুহ (Sonali Guha)। বাংলার সক্রিয় রাজনীতির আঙিনায় আজকাল তাঁকে সেভাবে দেখা যায় না। কিন্তু বাংলার রাজনীতিতে এখনও সমানভাবে চর্চিত তিনি। একদা মমতার বর্ধিত পরিবারের একজন ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছায়াসঙ্গিনী হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। মমতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি বড় অংশ খুব কাছ থেকে সাক্ষী থেকেছেন তিনি। প্রাক্তন বিধায়ক সোনালীর বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকারের ভূমিকা পালনেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তারপর বিজেপিতে গিয়ে সেখানেও টিকিট পাননি। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে সেভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। মাঝে একবার অবশ্য তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতাকে। ‘প্রিয় দিদি’কে লেখা চিঠিতে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তাঁর ‘স্নেহের’ সোনালী। কিন্তু তারপর তৃণমূলেও যাওয়া হয়নি। আর বিজেপিতে থেকেও কার্যত নিষ্ক্রিয় তিনি। কিন্তু এখন সোনালী জানাচ্ছেন, ‘দিদি’ ডাকলেও তিনি আর তৃণমূলে ফিরতে চান না।
শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেছেন সোনালী। দুই বছরের নিষ্ক্রিয় থাকার পর আবার বিজেপির একজন সৈনিক হিসেবেই লড়াই শুরু করতে চাইছেন তিনি। বললেন, ‘আমি যখন টিকিট পাইনি, তখন বিজেপিতে যোগ দিই। তারপর দীর্ঘ দুই বছর পারিবারিক কারণে পার্টি থেকে অফ ছিলাম। সুকান্তবাবুর সঙ্গে আজ দেখা করেছিলাম। নেহাতই সৌজন্য। আমি বিজেপি করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সোনালীর দাবি, সুকান্ত মজুমদারও তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে বিজেপি তাঁকে দলের কাজে ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন – যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক সকল নাগরিককে নিরাপদে দেশ ফেরাল ভারত,এই…
তৃণমূল প্রসঙ্গেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তিনি। যদি তৃণমূলের থেকে কোনও প্রস্তাব আসে তাহলে কী করবেন সোনালী? প্রশ্ন করতেই জোড় হাত করে জানিয়ে দিলেন, ‘না। আমি হাতজোড় করছি। আমি দুই বছর অপেক্ষা করেছিলাম। আমি তৃণমূলে আর ফিরে যাব না। তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বকে নমস্কার জানিয়ে আমি এবার তৃণমূল থেকে ছুটি চাইছি। দিদি ডাকলেও যাব না। দিদিকে আমার অনেক শ্রদ্ধা, অনেক ভালবাসা। কিন্তু আমি আর তৃণমূলে ফিরব না।’