অভিষেকের গড়ে মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটিতে দায়িত্ব পেলেন সোনালী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কেন্দ্রেই সংগঠন শক্ত করার দায়িত্বে তৃণমূল সুপ্রিমোর একসময়ের ছায়াসঙ্গী তথা তিনবারের বিধায়ক সোনালী গুহ। বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য করা হয়েছে সোনালী গুহকে (Sonali Guha)। আর তাঁকে দেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) দায়িত্ব। অর্থাৎ বিজেপির মূল দলে ঠাঁই না হলেও মহিলা মোর্চার সদস্য হিসাবে বেশ বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সোনালীর কাঁধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গড়’-এ সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব যে সোনালীর কাছে খুব একটা সহজ কাজ নয়, তা বলা বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, তিনবারের বিধায়ক সোনালী গুহ মমতা সরকারের অধীনে রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানও ছিলেন। কিন্তু, গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি। তার জেরেই গোঁসা করে তিনি দল ছাড়েন এবং বিজেপিতে যোগদান করেন। কয়েক মাস পরই অবশ্য তাঁর মোহভঙ্গ হয় এবং বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না জানিয়ে পুনরায় তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দলনেত্রীর কাছেও সেই বার্তা পাঠান তিনি। যদিও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে, বিজেপির থেকেও অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন। ফলে প্রায় দু-বছর রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকেন একসময়ের দাপুটে রাজনীতিক। তারপর সম্প্রতি ফের রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সোনালী গুহ। অন্যদিকে, ‘দিদি ডাকলেও আর তৃণমূলে যাবেন না’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবশেষে সোনালীর আবেদন মেনে তাঁকে দলের মূল স্রোতে ফেরানোর কাজ শুরু করল বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন – খাতায়-কলমে আর শিক্ষক রইলেন না ববিতা,
সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতগাছিয়ার বিধায়ক ছিলেন সোনালী গুহ। এছাড়া একসময়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরের কাজকর্ম অনেকটাই সোনালীর জানা। সেজন্যই অভিষেকের ‘গড়’-এ সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব সোনালী গুহর উপর দেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার একাংশের মতে, সোনালী গুহর উপর ক্ষুব্ধ বিজেপিরই একাংশ। সেজন্যই মূল দলে তাঁর ঠাঁই হয়নি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে সংগঠন মজবুত করার মতো কঠিন দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই দায়িত্ব চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিয়েছেন তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক সোনালী গুহ।