বোসের দরবারে ‘মহারাজ’, রাজভবনে কেন সৌরভ? মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ রাজভবনে (Raj Bhavan) গেলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান তিনি। কালো রঙের একটি গাড়িতে চেপে রাজভবনের ভিতরে ঢোকেন। হঠাৎ করে সৌরভের এই রাজভবন যাত্রা ঘিরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) সঙ্গে কী নিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের কথা হচ্ছে, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্য়েই। তবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কোনও রাজনৈতিক কারণে এই আগমন নয়। রাজ্যপালের এক বন্ধু রয়েছেন, যিনি আবার সৌরভেরও বন্ধু। সেই বন্ধুর সঙ্গেই আজ রাজভবনে যান সৌরভ। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই আজ রাজভবনে গিয়েছিলেন সৌরভ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের কাছে আইকন। সেই সৌরভকে নিয়ে রাজনীতির টানাটানি দীর্ঘদিনের। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ঘাসফুল নাকি পদ্মফুল, কোন ফুলের বেশি ঘনিষ্ঠ, তা নিয়েও চলেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও এককালে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও সেই সব জল্পনাকেই সাবধানে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন সৌরভ। এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রাজনীতিতে নামার কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি।
তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্যের শাসক শিবির ও কেন্দ্রের শাসক শিবিরের মধ্যে টানাটানি রয়েই গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যেমন সৌরভকে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে নবান্নেও গিয়েছিলেন সৌরভ। আবার সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সুকান্ত মজুমদাররা।
আরও পড়ুন – হনুমান তো ভগবান নয়, শুধুই রামভক্ত, দাবি ‘আদিপুরুষের’ সংলাপ লেখক মনোজ মুন্তাসিরের…
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ত্রিপুরার পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব আসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তুমুল চর্চা হয়েছিল। কেউ সৌরভের পক্ষ নিয়েছিলেন, কেউ আবার দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভের বিপক্ষে। সিএবি কর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলানো তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে যেমন, সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে। শুধু তাই নয়, সৌরভ ইস্যুতে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ – উভয় রাজ্যের ভূমিকা নিয়েই আপত্তির কথা শুনিয়েছিলেন বিশ্বরূপ।