জেড থেকে জেড প্লাস, নিরাপত্তা আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের, এতদিন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ছিল তাঁর জন্য। এবার তা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জন্য জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তার (Z Plus Security) বন্দোবস্ত করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই কোচবিহারের সাংসদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকে এসপিজির নিরাপত্তা বলয়। আর এর পরেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা হল জেড প্লাস নিরাপত্তা বলয়।এতদিন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ছিল নিশীথ প্রামাণিকের জন্য। এবার তা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জন্য জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে।
এদিকে নিশীথ প্রামাণিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র যদি মণিপুরের ক্ষেত্রেও এমন নিরাপত্তার কথা ভাবত, তাহলে আরও ভাল হত। মানুষের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা কেন্দ্রের ভাবা উচিত বলে মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। তবে ভোটের মুখে যেভাবে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে, যেভাবে হাতে তির ধরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তারপরই এই নিরাপত্তা বাড়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন – তারকেশ্বরে জোর লড়াই! চাকরির জন্য টাকা দিতে না পারা বাপ্পা জেলবন্দি শান্তনুর…
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। কনভয় লক্ষ্য করে তির ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু এই একবারই নয়, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। গত বছরের নভেম্বরে একবার এবং তারপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে আদালতে মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছিল। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২৫ ফেব্রুয়ারি নিশীথের কনভয়ে হামলার অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।