১৪৪ ধারা জারি, বিডিও অফিস থেকে ৫০-৬০ জনকে নিয়ে বেরলেন আরাবুল ,ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ফের শিরোনামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় (Bhangar)। ভোট ঘোষণার পর সোমবার মনোনয়ন তোলার তৃতীয় দিন। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, মনোনয়ন কেন্দ্র ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিলোমিটার পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে ১ জনের। অথচ অভিযোগ, সোমবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ৫০-৬০ জনকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিডিও অফিসে ছিলেন। ভাঙড়-২ বিডিও অফিস থেকে দীর্ঘ সময় পর বেরিয়ে আসেন তিনি। এমন ছবি প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে ১৪৪ ধারা বিধি কতটা মানা হচ্ছে? বিজয়গড় বাজারের কাছে এদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক জটলা করে দাঁড়িয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের যে ছবি বাংলা দেখেছে, ২০২৩-এও তার পুনরাবৃত্তি হবে না তো? ইতিমধ্যেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ভাঙড়ের দখল নিয়েছে আইএসএফ। এরপর একাধিকবার তৃণমূল ও আইএসএফের বিবাদে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোটেও আইএসএফ নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে মরিয়া। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেসও সিংহভাগ আসনে হাতে হাত রেখে লড়বে। বিমান বসু, অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট। এই অবস্থায় ভাঙড়ের মাটি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ময়দানে রাজ্যের শাসকদলও।
আরও পড়ুন – পুর নিয়োগ মামলায় রাজ্যের পক্ষে সওয়াল কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের
ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা ও তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে আসা এক কংগ্রেস কর্মীকে ব্লক অফিসের ভিতরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কংগ্রেস প্রার্থীর নাম আশরাফ আলি মোল্লা। তিনি চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চক মরিচা গ্রামের বাসিন্দা। এদিন তিনি চালতাবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন তুলতে আসেন। অভিযোগ সেই সময় ব্লক অফিসের মধ্যে এক তৃণমূল কর্মী তাঁকে মারধর করে সমস্ত কাগজপত্র কেড়ে নেন। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।