যানজটে আটকে অ্যাম্বুল্যান্স! এ বার ‘বাইক’-এ করেই পৌঁছানো যাবে হাসপাতালে,মরণাপন্ন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে ক্রমশ! পাশে থাকা পরিবারের সদস্যরা চিন্তায়, ঠিক কী উপায় দ্রুত হাসপাতাল পৌঁছন যাবে? এবার সেই বিষয় মাথায় রেখেই নয়া ভাবনা স্বাস্থ্য দফতরের। তাই এবার মোটর সাইকেলে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
শহরের রাস্তায় যানজটে বহু সময় আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। অ্যাম্বুল্যান্সের মাথায় থাকা নীল আলো আর হর্ন তখন যেন হয়ে যায় বৃথা। কারণ আগের গাড়ি না ছাড়লে তো পিছনের অ্যাম্বুল্যান্স-কে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব নয়। শুধু শহরেই নয়, গ্রমাঞ্চলে বহু এলাকায় এখনও ছোট কাঁচা রাস্তা রয়েছে। সেই সমস্ত জায়গাতে গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্স প্রবেশ খানিক ঝক্কির। তাই সেই সমস্ত দুর্গম রাস্তার উপর থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল যেতে এই বাইক অ্যাম্বুলেন্সের গুরুত্ব যথেষ্টই। এই সব বিষয় মাথায় রেখেই দ্রুত বাইক বা মোটর সাইকেল অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
যানজটে ফেঁসে থাকা মরণাপন্ন রোগীদের জন্য এই ব্যাবস্থা, বাইকের মাধ্যমে রোগীকে যদি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে চিকিৎসাও শুরু করা যাবে অত্যন্ত দ্রুত। প্রাণ বাঁচবে বহু রোগীর। এই ভাবনা থেকেই এই নতুন পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক উচ্চপদস্থ কর্তা।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির করিমুল হক তাঁর বাইক অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে প্রাণ বাঁচিয়েছেন বহু রোগীর। সেই জন্য সরকারের তরফে মিলেছে স্বীকৃতিও। সেই করিমুল হকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন – আরও এক ইতিহাস গড়বে ইসরো, কখন-কোথায়-কী ভাবে দেখবেন রকেট উৎক্ষেপণ ?
দেশের কোথায় কোথায় এই বাইক অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু আছে সেই বিষয়ে খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে রূপরেখা তৈরি করে ১০টি বাইক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করা হবে। সেই বিষয়ে টালিগঞ্জের এক বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত কারক সংস্থার সঙ্গে এক প্রস্থ কথাও বলেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিবহন শাখার আধিকারিকরা। বাইক অ্যাম্বুলেন্স তৈরি হলে তাতে ফার্স্ট এইড, অক্সিজেন, স্যালাইন দেওয়ার মতো প্রাথমিক সুবিধা যাতে থাকে সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।