বিহারের বড় অভিযানে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স, গত মাসেই বিহারের দুই জায়গায় একযোগে হানা দিয়েছিল কলকাতা এসটিএফ (Kolkata Police STF) এবং বিহার এসটিএফ। যৌথ অভিযানেই মেলে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। বিহারের (Bihar) খাগারিয়া জেলার সোনবরসার এবং সমস্তিপুরের হাসানপুরের দুটি কারখানায় যৌথ অভিযান চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সেমি ফিনিশ আগ্নেয়াস্ত্র। এবার ফের একই কায়দায় বিহারে অভিযান চালালো কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। সঙ্গে বিহার এসটিএফ। অভিযান চলল বিহারের পূর্ণিয়াতে। সূত্রে খবর, এই অভিযান থেকেই ২০টি পিস্তল সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার পাশাপাশি অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে তাঁরা সকলেই অস্ত্র তৈরিতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত বলে জানতে পারা যাচ্ছে। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির বহু সরঞ্জামও এদিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। সার্চ অপারেশনে উদ্ধার হয়েছে ২টি মিলিং মেশিন, ২টি লেদ মেশিন, ৩টি ড্রিলিং মেশিন, ২টি গ্রাইন্ডিং মেশিন, ওয়ার্কিং টুলস এবং মেশিনারিজ এবং অন্যান্য কাঁচামাল।
আরও পড়ুন – হাত জোড় বাবার ,‘আমার মেয়ে ইনোসেন্ট’, প্রতিবেশীরা বলছেন, ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’
এ ঘটনায় তিন পুরুষ সহ দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ শাহিদ (৩৪), মহম্মদ শাহানাবাজ আলম (২২), মহম্মদ শাহাউদ্দিন (৪১)। এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি বিহারে। শাহিদ ও শাহাউদ্দিনের বাড়ি মুঙ্গেরে, শাহানাবাজের বাড়ি ভাগলপুরে। এই তিনজন ছাড়াও আরও দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ণিয়ার ধামদহের কাছে একটি বাড়িতেই তৈরি করা হচ্ছিল বেআইনি অস্ত্র। বাড়িটি রয়েছে সৌরভ কুমার চৌধুরী ও সানি কুমার চৌধুরীর নামে। তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদেরও খোঁজ করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে নাকি বাড়িটি অন্য কেউ ভাড়া নিয়ে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছিল সে বিষয়ে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।