জেলার সমস্ত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করার নির্দেশ। রাজ্যে দুই বছর ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল লকডাউনের জন্য। ফলে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু এই বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এই নির্দেশিকায় জানুয়ারির মাসের ৩ তারিখ থেকে শুরু করে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক শিশু ক্রীড়া উৎসব গুলি শেষ করতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে।
রাজ্য স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ থেকে শুরু করে ২০ তারিখ পর্যন্ত। স্বাভাবিক ভাবে দুই বছর পর খেলার মাঠে ফিরতে পাড়ায় আনন্দে উল্লাসিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক সহ অভিভাবকরা।
প্রসঙ্গত এতদিন শিক্ষাবর্ষের শেষে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গুলি আয়োজন করা হত। কিন্তু এ বছরই প্রথম শিক্ষা বর্ষের শুরুতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।এই বিষয়ে নির্দেশিকা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং শিক্ষা চক্রগুলিতে জেলা পরিদর্শক এবং সার্কেল ইন্সপেক্টরদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন চক্রে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং শিক্ষকদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। তবে এত কম সময়ের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করে কিভাবে মাঠে নিয়ে আসা হবে তা চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শিক্ষকদের কপালে বলে জানান হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের মিরপাড়া তাঁতী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আমিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন – তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ভারতের মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলার ভূমিকার প্রদর্শনী
এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের ভাজান্না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজেশ কুমার সাহা জানান গত দুই বছর ধরে পরিস্থিতির কারণে প্রাইমারি স্কুলগুলিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।তাই শিশুদেরও মন খারাপ হয়ে ছিল। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের শেষের পরিবর্তে শুরুতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজিত হওয়ায় কিছুটা হলেও অসুবিধার সম্মুখীন হব আমরা।
হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তারক মন্ডল জানান রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করার বিষয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে তা আমরা স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে।