মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এ নায়িকা রং বদলে যোগ দেন বিজেপিতে। পেয়ে যান পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের টিকিটও। তবে ভোটের ফল খুব একটা সুখকর হয়নি। বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার উত্তর কলকাতায় নায়ক দেব অধিকারী প্রযোজিত ‘কিশমিশ’ ছবির ক্যামিও চরিত্রের শুটিংএ এসেছিলেন শ্রাবন্তী (Srabonti)। আর সেখানেই শ্রাবন্তী মুখোমুখি হয় নিজের দলের আরেক প্রতিনিধি অঞ্জনা বসুর সঙ্গে।এখন নতুন করে আবার টালিউড অন্দরে গুঞ্জন রটেছে, অবশেষে আফসোস করছেন শ্রাবন্তী। রাজনীতিতে একবারি হেরে গেছেন। তাই ফিরে এসেছেন নিজের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যে। জানা গেছে, দুই অভিনেত্রী এক জায়গায় হতেই মনের কথা চেপে রাখতে পারেননি শ্রাবন্তী (Srabonti)। প্রকাশ করেছেন, রাজনীতি নাকি তার জন্য নয়। কয়েক মাসেই তিনি এটা বুঝেছেন। তাই আবারও মন দিয়েছেন অভিনয়ে। রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কিশমিশ’ ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবেই দেখা যাবে শ্রাবন্তীকে।
শুটিংএ এসে বেশির ভাগ সময় নিজেকে মেকআপ ভ্যানে বন্দি করে রেখেছিলেন নায়িকা। এদিন উত্তর কলকাতার একটি গলির মধ্যে থাকা পুরনো জমিদার বাড়িতে সরস্বতী পূজার শুটিং হয়। সেখানেই শ্রাবন্তীকে দেখা যায় সাদা সিক্যুইনের শাড়িতে। নায়িকার তরতাজা ভাব যেন বলে দিচ্ছিল, অভিনয় তাকে নতুন অক্সিজেন জোগাচ্ছে। শুটিং শেষে সংবাদিকদের মুখোমুখি হন শ্রাবন্তী (Srabonti)। জানান, জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়ে তিনি আপ্লুত। শ্রাবন্তী (Srabonti) বলেন, প্রতি বছর দিদি আমার জন্মদিন মনে রাখেন। আশীর্বাদ জানান, উপহার পাঠান। এ বছরেও তার ভুল হয়নি। দিদি চিঠিতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর থেকে বড় সম্মান আর কী হতে পারে? যদিও নিন্দুকেরা অভিনেত্রীর এমন বক্তব্যে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। দলবদলের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। তবে নায়িকার মতে, লোকে নানা কথা বলবেই।
আর ও পড়ুন যে ব্যায়াম শরীরের ওজন (weight) কমায় না
নিন্দুকদের মুখ তিনি কী করে আটকাবেন! এদিন কিন্তু স্বামী রোশন সিংহকে নিয়ে একটা কথাও বলেননি অভিনেত্রী। তবে ছেলে ঝিনুককে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। জানিয়েছেন, ছেলে আইসিএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে। খুব ভালো নম্বর পেয়েছে। এদিকে গত সোমবার অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপা ভট্টাচার্য বিজেপি ছেড়ে বাম দলে যোগ দিয়েছেন। এটা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দল ছাড়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। এই নিয়েও মতামত জানিয়েছেন শ্রাবন্তী (Srabonti)। অঞ্জনার কাছে আক্ষেপ করেছেন, বোঝাতে চেয়েছেন- এই ধরনের ঘটনা যে কোনও দলের পক্ষেই সম্মানহানিকর।