রাজ্য – শিক্ষক নিয়োগে গতি ফেরাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তৎপর স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। কিন্তু বাস্তবে সামনে এল ভিন্ন ছবি—একদিকে আন্দোলন ও মামলার জট, অন্যদিকে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় বহু উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি। ফলে অনুত্তীর্ণদের সামনে তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা।
ভেরিফিকেশন শুরু Bengali ও English বিষয়ের
সোমবার থেকে একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগে ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দিন Bengali বিষয়ের ভেরিফিকেশন হয়, বুধবার থেকে চলছে English। এই দুই প্রধান বিষয়ের ভেরিফিকেশন শেষ হলেই ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ইন্টারভিউ পর্ব। কিন্তু দুই বিষয়েই নজরে পড়েছে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি। বাংলায় ২৫ জন উত্তীর্ণ উপস্থিত হননি, ইংরেজিতেও অনুপস্থিতির সংখ্যা কম নয়।
শূন্যপদে বদল, সামনে বাড়ল সুযোগ
নবম–দশম শ্রেণিতে মোট শূন্যপদ ২৩,২১২। একাদশ–দ্বাদশে শূন্যপদ ছিল ২০,৫০০। ভেরিফিকেশনে উপস্থিত না হওয়া প্রার্থীদের কারণে এই শূন্যপদে পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কমিশন আগেই জানিয়েছিল—ভেরিফিকেশনে উপস্থিত না হলে ইন্টারভিউয়ের সুযোগ থাকবে না। এখন প্রশ্ন, শূন্য হয়ে যাওয়া এই আসনগুলির কী হবে? কমিশন এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন—২৬ জনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
২৬ জন পরীক্ষার্থী নিজেদের সম্পর্কে ভুল তথ্য জমা দিয়েছেন বলে কমিশন জানিয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা পর্যালোচনা করছে কর্তৃপক্ষ। তাই এই নিয়োগ পর্বে কাগজপত্রের নির্ভুলতা আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।
অনুপস্থিতির কারণ—বয়সসীমা ও মামলা–মোকদ্দমা
কমিশনের অনুমান, কিছু পরীক্ষার্থী বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ভেরিফিকেশনে অংশ নেননি। আবার অনেকে নতুন মামলা–মোকদ্দমার জটিলতায় পিছিয়ে পড়ছেন। ফলে নিয়োগের গতিতে বিঘ্ন ঘটছে।
ফলাফলে দেরি, তবু আশা সোমবার
একসঙ্গে নবম–দশম ও একাদশ–দ্বাদশের প্রক্রিয়া চলায় নবম–দশম শ্রেণির ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে কমিশন জানিয়েছে—সোমবারের মধ্যেই ফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
সব মিলিয়ে SSC–এর নিয়োগ প্রক্রিয়া যত দ্রুত এগোচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে—অনেকেই সুযোগ হারাচ্ছেন নিজেরাই। আর সেই জায়গায় নতুন করে খুলছে দরজা অপেক্ষমাণ অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য।




















