
বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক ক্রিয়াকলাপের আখড়া হয়ে উঠেছ মালদহের চাঁচলের স্টেডিয়াম (Stadium) চত্বর।এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ,আঁধার নামতেই চাঁচলের স্টেডিয়ামের ভিতরে বসছে মদ্যপান ও জুয়ার আসর।এমনকি দিবালোকেও স্টেডিয়ামের (Stadium) গ্যালারীর আড়াল আবডালে সেই কাজ অবাধে চলছে।প্রেমকি-যুগলের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে অর্ধসমাপ্ত চাঁচল স্টেডিয়াম চত্বরে।
স্টেডিয়ামের (Stadium) ভিতরে এক হাইমাস লাইট থাকলেও তা বিকল থাকায় জ্বলছে না।অন্ধকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসামাজিক ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে চাঁচলের স্টেডিয়াম চত্বর।বাসিন্দার আরোও অভিযোগ তুলেছেন,স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ পথে পথবাতি গুলোও দীর্ঘদিন ধরে অকেজো রয়েছে।
মাঠের গ্রাউন্ডে একদিকে যেমন অসামাজিক কাজ হচ্ছে তারই পাশাপাশি গরু ও ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।স্টেডিয়ামটি অর্ধসমাপ্ত থাকায় সেটি সেইভাবে ঘেরাও করা হয়নি।এরফলে অনেকেই স্টেডিয়াম চত্বরে গরু বাধতেও দেখা যাচ্ছে।মাঠের মধ্যস্থলে শূকরেরও পাল চড়তে দেখা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত,চাঁচলে সেভাবে খেলাধূলার মাঠ রয়েছে হাতেগোনা।সেক্ষেত্রে স্টেডিয়াম মাঠটির গুরুত্ব অপরিসীম।শিক্ষার পাশাপাশি শরীর চর্চার কথা সকলেই জানেন।চাঁচলের যেকয়কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা রয়েছে,তারা বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার জন্য সেই স্টেডিয়াম মাঠটির উপরই ভরসা করে থাকেন।
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তারাও স্টেডিয়ামের পরিণিতিতে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ। তারা যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেয়ার টেকার নিযুক্তির দাবি উঠেছে।আরোও দাবি রয়েছে, স্টেডিয়াভের ভূল প্রবেশ দ্বারের পাশে একটি ছোটো দ্বার করা হয়েছে সেটি সহ মাঠের উত্তর প্রান্তের ছোটো দ্বারটিও দিনের নির্দিষ্ট সময়ে খোলা ও বন্ধ করা হোক।অর্ধ সমাপ্ত স্টেডিয়ামটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ারও দাবি উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অয়ন রায় ও উৎপল সরকারেরা বলেন,স্টেডিয়ামের মূল লক্ষ্য খেলাধূলা ও শরীর চর্চা করা।সেই হিসেবেই ব্যবহার করা উচিত।এবং তা রক্ষণাবেক্ষণেরও অতি প্রয়োজন রয়েছে। অসামাজিক ক্রিয়াকলাপের আখড়া বন্ধে ও সামনের পথবাতি গুলো জ্বলছে না।সেবিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।
প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান,উৎপল তালুকদার। চাঁচলের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য ঘটনার কথা জানতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন,অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ চলছে তা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে।এবং মাঠটির সৌন্দর্যায়ন ও পূর্ব প্রান্তে থাকা মরা মহানন্দার খালটিকে সংস্কার করার হবে।ইতিমধ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে। চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন,বিষয়গুলি আমাদের নজরে এসছে।খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছি।