বিধানসভায় এই নতুন বিল পাশ হলে সল্টলেক এবং কল্যাণীর বাসিন্দারা সম্পূর্ণ রূপে তাঁদের জমির মালিকানা পাবেন। বর্তমানে সল্টলেকে সব জমির মালিকই নগরোন্নয়ন দফতর। কেউ বাড়ি কিনতে চাইলে তাঁকে নগরোন্নয়ন দফতরে কাঠাপ্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা ফি দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু জমির উপরে সম্পূর্ণ অধিকার থাকে দফতরের। সল্টলেক এবং কল্যাণীতে জমির চরিত্র পাল্টে বাসিন্দাদের মালিকানা, নতুন উদ্যোগ রাজ্যের l
রাজ্যের অনেকগুলি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মতো সল্টলেক ও কল্যাণীতেও জমির ৯৯৯ বছরের লিজ়ের নিয়ম খারিজ করে দিতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই বিল আসতে পারে বলে নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর। বিধানসভায় ওই বিল পাশ হলে সল্টলেক এবং কল্যাণীর বাসিন্দারা সম্পূর্ণ রূপে তাঁদের জমির মালিকানা পাবেন। যার অর্থ, বাড়ি বিক্রি কিংবা কেনার জন্য তাঁদের আর নগরোন্নয়ন দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। দফতরকে এককালীন নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে জমির মালিকানা নিজেদের নামে করে নিতে পারবেন তাঁরা।
বর্তমানে সল্টলেকে সব জমির মালিকই নগরোন্নয়ন দফতর। কেউ বাড়ি কিনতে চাইলে তাঁকে নগরোন্নয়ন দফতরে কাঠাপ্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা ফি দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু জমির উপরে সম্পূর্ণ অধিকার থাকে নগরোন্নয়ন দফতরের। এর ফলে সল্টলেকের বাসিন্দা কেউ নিজের বাড়ি অন্য ভাবে ব্যবহার করতে চাইলে দফতরের অনুমতি নিতে হয়। বার বার যোগাযোগ করতে হয় দফতরে।সেই কারণেই এ বার সল্টলেকের জমির চরিত্র বদল করায় উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। এক আধিকারিক জানান, এককালীন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে দিলে বাড়ির মালিক সব সরকারি বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। পাশাপাশি, সরকারের কোষাগারেও টাকা আসবে।
আরও পড়ুন- রোগা হওয়ার রহস্য জানালেন যুবক ! তিন বেলা পিৎজ়া খেয়ে ঝরালেন ওজন
যদিও অনেকে মনে করছেন, এই সরলীকৃত ব্যবস্থায় আগামী দিনে সল্টলেকের মতো খোলামেলা শহরে প্রোমোটার-রাজ মাথাচাড়া দেবে। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে সল্টলেকের বহু বাড়িতে প্রবীণ নাগরিকেরা বসবাস করেন, যাঁদের সন্তানেরা কর্মসূত্রে বাইরে রয়েছেন। এ ভাবে মালিকানাসম্পূর্ণ ভাবে দিয়ে দিলে সেই সব বাড়ি বিক্রি করে প্রোমোটিংয়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তাতে এক দিকে যেমন সল্টলেকের মতো পরিকল্পিত উপনগরীতে কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি হবে, তেমনই তার কুপ্রভাব পড়বে সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থার উপরেও।