পাকিস্তানের বালোচিস্তান (balochistan) প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদ (secessionist movement) মাথাচাড়া দিয়েছে অনেকদিন আগেই। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সন্ত্রাসবাদের (terrorism) রাস্তায় হাঁটছে। তাদের হাতে এবার আক্রান্ত হলেন মহম্মদ আলি জিন্না (mohammad ali jinnah)। পাকিস্তানের জনক প্রয়াত জিন্নার মূর্তি (statue) বিস্ফোরণ (blast baloch ) ঘটিয়ে উড়িয়ে দিল বালোচ জঙ্গিরা ( baloch militants) । বালোচিস্তানের গোয়াদর প্রদেশে ঘটেছে এই বোমা হামলা। রবিবার সন্ধ্যায় জিন্নার মূর্তির তলায় বিস্ফোরক মজুত করে রেখেছিল সন্ত্রাসবাদীরা, তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
গত জুনে তুলনামূলক নিরাপদ এলাকা বলে পরিচিত মেরিন ড্রাইভ এলাকায় বসানো মূর্তিটি বিস্ফোরণে চুরমার হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রথম সারির পাকিস্তানি সংবাদপত্র দি ডন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বালোচ রিপাবলিকান আর্মির মুখপাত্র বাবগার বালোচ ট্যুইট করে নাশকতার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর বিবিসি উর্দুর। সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়াদরের ডেপুটি কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল কবীর খান। জঙ্গিরা পর্যটকের ছদ্মবেশে বিস্ফোরক রেখে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমিশনার জানিয়েছেন, এখনও কেউ গ্রেফতার না হলেও দুএকদিনেই তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। আমরা সব দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করছি, শীঘ্রই অপরাধীরা ধরা পড়বে, বলেন তিনি। বালোচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বর্তমান সেনেটর সরফরাজ বুগতি ট্যুইট করেছেন, গোয়াদরে কায়েদ ই আজমের মূর্তি ভাঙা পাকিস্তানের দর্শনের ওপরই আঘাত। জিয়ারাটে কয়েদ-ই-আজমের বাসভবনের ওপর হামলার ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছে, সেভাবেই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩য় জিয়ারাটে জিন্নার ব্যবহার করা ১২১ বছরের বাড়িতে গোলাগুলি চালিয়ে, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বালোচ সন্ত্রাসবাদীরা। চার ঘন্টার আগুনে বাড়ির দামী আসবাবপত্র, স্মারক-সব পুড়ে ছাই হয়। যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত জিন্নার জীবনের শেষ কয়েকটি বছর কেটেছিল ওখানে। পরে বাড়িটি জাতীয় সৌধ ঘোষিত হয়। জিন্নার জন্ম ১৮৭৬ এর ২৫ ডিসেম্বর। ১৯১৩ থেকে ১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের জন্ম পর্যন্ত তিনি ছিলেন মুসলিম লিগের সর্বোচ্চ নেতা। ১৯৪৮ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল।