টাস্ক ফোর্স মাঠে নামতেই বদলে গেল ছবি! অভিযান শুরু হতেই বেশ কিছু সবজির দাম কমে গিয়েছে। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে শাকসবজির নাম। বাজার করতে গিয়ে প্রায় খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরতে হচ্ছে অনেককে। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় মধ্যবিত্তের। শাকসবজির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকেই মাঠে নেমেছে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (Special Taslk Force)।
সোমবার চারটি দলে ভাগ হয়ে সল্টলেক, সোনারপুর, হাওড়া ও ব্যারাকপুরে হানা দেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে ছিলেন। অন্যদিকে মঙ্গলের সকালে টাস্ক ফোর্সের একটি দল শহরে সব থেকে বড় পাইকারি বাজার শিয়ালদার কোলে মার্কেটে অভিযান চালায়। পাশাপাশি সোমবার কলকাতা টাস্ক ফোর্সের টিম সল্টলেকের এসি, এবি, বিডি ও সিকে ব্লকের বাজারেও অভিযান চালিয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। সেখানে সবজির দাম সংগ্রহ করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর, সোনারপুর ও বামুনগাছির বাজারেও অভিযান চালায় স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। হাওড়ার কালিবাবু, কদমতলা ও শিবপুরের বাজারেও চলে অভিযান। ব্যারাকপুরের তিনটি মার্কেটেও অভিযান চালানো হয়।
টাস্ক ফোর্সের অভিযান চালানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকরা সুফল বাংলা বিপণীর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে বাজারমূল্যের তুলনায় কমদামে টমেটো, বেগুন, করোলা, লাউ বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সুফল বাংলার বিপণী থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রামের বেশি সবজি কিনতে পারবেন না ক্রেতারা।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্সে অভিযানের পর লাফিয়ে দাম কমেছে দুটি সবজির। ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচালঙ্কার দর একলাফে কমে হয়েছে ১০০ টাকা প্রতিকেজি। অন্যদিকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিকনো লাউয়ের দাম এক ধাক্কায় কমে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন – ‘পারলে মাহাতোদের ৫০০ টাকা বন্ধ করে দেখাক’, চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীকে পাশাপাশি বেলাগাম আক্রমণ…
টাস্ক ফোর্সের সিনিয়র সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘আমাদের অভিযানের প্রভাব পড়েছে। দুটি সবজির দাম দ্রুত হারে কমেছে। অন্যান্য বেশ কিছু সবজির দামও কমতে শুরু করেছে। আমরা বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁদের দাম বেশি না নেওয়ার কথা বলে সতর্ক করা হয়েছে। কোনও ব্যবসায়ীকে বেশ দাম নিতে ধরা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’ টাস্ক ফোর্সের এই সদস্য জানিয়েছেন প্রতি মুহূর্তে তাঁরা নবান্নে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে এবং তাঁদের আশা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।