নিউজ ডেস্ক ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ : রাজ্যে দুদিনের সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শা। শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতায় পা রেখেছেন তিনি তারপরেই রাত দেড়টা নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দরে নেমে সেখান থেকেই রওনা দেন একটি পাঁচতারা হোটেলের উদ্দেশ্যে।
তারপর শনিবার সকালে কলকাতার সিমলা স্ট্রীটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষন সময় কাটান তিনি। তারপরই বিশেষ হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি পাড়ি দেন মেদিনীপুরের জনসভা স্থলে। আজ মেদিনীপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর জনসভায় জনসাধারণের ভিড় রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তিনি শালবনির বালিজুরি গ্রামে আদিবাসী সনাতন সিংহের বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তার আগেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। পাশাপাশি সনাতন সিংহের বাড়িতে মোতায়েন করা হলো কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিনের সভায় শুভেন্দুসহ একাধিক সাংসদ ও বিধায়কেরা তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁরা হলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, সৈকত পাঁজা, সুকরা মুণ্ডা, বনশ্রী মাইতি, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, তাপসী মণ্ডল, সুদীপ মুখোপাধায়সহ প্রমুখ। তারপরেই মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র অমিত শাহের জনসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার তাঁকে সঙ্গে নিয়েই মঞ্চে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঞ্চে শুভেন্দুর হাতে পতাকা তুলে দেন অমিত। সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষও। শুভেন্দু ছাড়াও রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই একাধিক বিষয় নিয়ে তোপ দাগতে দেখা যায় তাঁকে। বক্তব্যের একদম শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো হাটাও।’ এই স্লোগান তিনি তিনবার পরপর দিয়েছেন। যদিও একবারও অভিষেকের নাম করেননি শুভেন্দু। তবে ভাইপো বলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেছেন শুভেন্দু। এদিনের শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গেছে বিস্তর বাদানুবাদ। এদিন একাধিক ভাষায় তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে শুভেন্দুকে। তিনি সরাসরি নাম না নিলেও তোলাবাজ ভাইপো হঠাও বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি মোদীর হাতে বাংলাকে না তুলে দিলে রাজ্যের সর্বনাশ হবে এরকম যাবতীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে।