অন্য কাউকে প্রার্থী হতে না দিলে, আমি আর অভিষেক যাব বললেন সুব্রত বক্সি ,পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চায় উঠে আসছে ২০১৮-র ঘটনা। রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলগুলি যে হিংসা আর সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল, তার ফল ভুগতে হয়েছিল শাসক দলকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেবার মনোনয়ন দিতে না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তার জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনটা উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও শাসক দলকে ধাক্কা খেতে হয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। এবার ২০২৪-এর আগে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় তৃণমূল। তাই ভোট-সন্ত্রাস যাতে না হয়, সে ব্যাপারে দলের কর্মীদের সতর্ক করলেন তৃণমূলে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা।
মানুষের সঙ্গে বসে করতে হবে প্রার্থী বাছাই সামনে পঞ্চায়েত ভোট। যাঁরা এখনও জেলা কমিটি বানাননি তাঁদের দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন প্রার্থীর নাম বাছাই করে বলুন, যাঁদের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা আছে। বুথে বুথে মানুষের সঙ্গে বসে নাম বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গায়ের জোরে ভোট নয়
সোমবার বৈঠকের শুরুতেই নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে সুব্রত বক্সি বলেন, ‘গায়ের জোরে ভোট করা যাবে না।’ ২০১৮ সালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বক্সির সতর্কবার্তা, ‘পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।’ তিনি বলেন, ভোট-সন্ত্রাসের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘গতবারের ঘটনার জেরে আমাদের মাশুল দিতে হয়েছিল লোকসভায়। আমরা ১৮টি আসন কম পেয়েছিলাম। এবার তেমন করা যাবে না।’
আরও পড়ুন – নবান্নে সরকারি কর্মসূচির ফাঁকে একান্তে কথা মমতা-ফিরহাদের
নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি ভাবেন গায়ের জোরে, অন্য কাউকে প্রার্থী হতে দেব না তাহলে ভুল ভাবছেন। আমি আর অভিষেক গিয়ে সেই প্রার্থীর মনোনয়ন করিয়ে দিয়ে আসব।’