দিল্লিতে বসেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সবর সুকান্ত মজুমদার

দিল্লিতে বসেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সবর সুকান্ত মজুমদার

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সোমবার ও মঙ্গলবার তৃনমূল কংগ্রেসের রাজধানীতে দুদিনের কর্মসুচি। ১০০ দিনের বকেয়া অর্থ আদায়ের দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকের। আর তৃণমূলের এই কর্মসূচির পাল্টা কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী সকলেই এই কর্মসূচির তীব্র কটাক্ষ করেছেন। আর এবার এই কর্মসূচির প্রতিবাদে এ দিন দিল্লি থেকেই সাংবাদিক বৈঠক রাজ্য বিজেপির। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

আরও পড়ুনঃ ‘দেশে দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে গান্ধীজির নাম মোদীর জন্য,’ গান্ধী জয়ন্তিতে দাবি দিলীপের

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘জেসিবি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। তারপর ভুয়ো তথ্য পেশ করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। জয়ন্ত রায়ও লোকসভায় প্রমাণ সহ বলেছিলেন যে কারোর অ্যাকাউন্টে ১ টাকা, কারোর অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা পাঠানো হয়েছে। জমির মাপ না করে, কাজের মান না দেখেই টাকা দেওয়া হয়েছে। আগেই হয়ে যাওয়া কাজ-কে এমজিএনআরইজিএ-র অধীনে কাজ বলে দেখানো হয়েছে। এমজিএনআরইজিএ-র অধীনে যে কাজগুলি নয়, সেগুলিকেও দেখানো হয়েছে। অন্যায়ভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে।’

 

এখানেই শেষ নয়। সুকান্ত মুজমদার আরও বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এনআরইজিএ, পিএমএওয়াই-তে দুর্নীতি হয়েছে। নীচু স্তর থেকে অভিযোগ এসেছে। যেমন মাটির কাজে স্ক্রুটিনি থেকে বাঁচতে বড় কাজকে ছোট ছোট স্তরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য় কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। অনেক টাকা আদায় করা হয়েছে এইভাবে। সেচ বিভাগের সঙ্গে কথাও বলা হয়নি। আমাদের কাছে ছবিও আছে।’

 

সুকান্তের কথায়, ‘বর্ধমান, হুগলিতে অনিয়মিত কাজের প্রমাণ মিলেছে। ওই টাকাগুলি উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট সেক্রেটারির অধীনে একটি টিম গিয়েছে। কেন্দ্রীয় দল যা তথ্য প্রমাণ পেয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। রাজ্য সরকারের কাছে  যে ইস্যু তোলা হয়েছিল তার উত্তর দেয়নি।’

 

রবিবার দিল্লি পৌঁছিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়  রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ বাংলার প্রাপ্য টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পারলে আটকে দেখাও। ‘ অভিষেকের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, ‘দিল্লি পৌঁছালে ডু অর ডাই। তার আগেই তো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষরা। যাদেরকে লোভ দেখিয়ে এসি বাসে নিয়ে গেছেন। তারা নিশ্চিন্তে আগে দিল্লি পৌঁছন। তার আগে তো ধর্নাকারি টিচাররা পৌঁছে যাচ্ছেন। আসলে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবে এটা কেউ খাচ্ছে না। তাই দিল্লিতে হাল্লাগোল্লা করে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে। যাতে বোঝাবে টিএমসি লড়াইতে আছে।’

 

এখন দেখার আজ দিল্লিতে কি কি ঘটে।

en.wikipedia.org