অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি ইস্যুতে এবার ইডি’র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নালিশ জানাতে চলেছেন বিজেপির এ রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইডি’র যে সমস্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা যুক্ত তাঁরা কেউ ২০১৪ সালের পর জন্মাননি। কিংবা ২০১৪ সালের পর চাকরিতেও যোগ দেননি। বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাবো।’’
আরও পড়ুন: আপনি কী ঘুমের মদ্ধ্যর নাক ডাকেন? বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি, জানুন উপায়
বঙ্গ পদ্ম সেনাপতি সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘আমরা আদালতের কাছে আবেদন করব যদি কোনও তদন্তকারী ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে তাদের কোনও সন্দেহ হয় তাহলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। কংগ্রেস আমলের কোনও তদন্তকারী অফিসার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। বিএসএফের একজন অফিসারকেও গ্রেফতার হতে হয়েছে।’’
বলা বাহুল্য, তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ এর আগে সিবিআই ও ইডির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এ বার তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ হাইকোর্টে একটি মামলার ভিত্তিতে সোমবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি সিনহা ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীমা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি এদিন আদালতে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনারা (ইডি) জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি বীমা আছে৷ আর কোনও সম্পত্তি নেই ? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই ? তিনি সাংসদ, অথচ তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই ? তাঁর বেতন কোন অ্যাকাউন্টে যায়?’ প্রশ্ন করেন বিচারপতি ৷ সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, হ্যাঁ, আছে ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে৷ তার পর পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘তার উল্লেখ করেননি কেন? আপনারা কী পোস্ট অফিস? আপনারাই তথ্য গোপন করেছেন বলে আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে ৷’’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিজেপির সল্টলেক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও বিষয়টি জানাবেন বলে মন্তব্য করেন।