
সুন্দরবনের ( Sundarban ) জঙ্গলে বাঘে মানুষে লড়াই শিকার ছেড়ে পালালো বাঘ। খবর পেয়ে জঙ্গল থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করল বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের ( Sundarban ) কাপুরা নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎই জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে এসে আক্রমণ করলে জখম হয় এক মৎস্যজীবী।
জখম মৎস্যজীবীর নাম সুদর্শন সরদার।ঘটনাটি ঘটে সুন্দরবনের ( Sundarban ) ঝিলার জঙ্গল এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গোসাবার সোনাগাঁ গ্রামের বাসিন্দা সুর্দশন সরদার সহ আরও ৪ জন মৎস্যজীবী একটি নৌকা করে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ ঝিলা জঙ্গল এলাকায় কাপুরা নদীতে জাল টেনে মাছ ধরার সময় হঠাৎই জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে এসে নৌকার উপর মৎস্যজীবী সুর্দশন সরদারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বাঘের এক থাবায় নৌকা থেকে জলে পড়ে যায় মৎস্যজীবী।
আর ও পড়ুন কংগ্রেসেই ( Congress ) যোগ দিচ্ছেন পিকে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে সোনিয়া
সেই সময় বাকী মৎস্যজীবীরা এমন ধরনের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়।পরে হুস এলে বাকী মৎস্যজীবীরা নৌকার বৌঠা লাঠি সোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘের উপর।
আর নদীর নোনা জলের মধ্যে চলে বাঘের সঙ্গে মৎস্যজীবীদের লড়াই।প্রায় ৩০ মিনিটের লড়াইয়ে বাঘ পিছুতে শুরু করে।এরপর বাঘ শিকার ছেড়ে দিয়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়।
বাকি মৎস্যজীবীরা জখম মৎস্যজীবী কে নৌকায় তোলে এবং সজনেখালি ফরেস্ট ক্যাম্পে তারা খবর দেয়।খবর পেয়ে সজনেখালি রেঞ্জার বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে বিট অফিসার অভিষেক দে,হেড ফরেস্ট গার্ড পিন্টু বিশ্বাস,ফরেস্ট গার্ড পার্থ হালদার স্পিড বোর্ড নিয়ে জলপথে দ্রততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।সেখানে জখম মৎস্যজীবী এবং বাকী মৎস্যজীবীদের রেসকিউ করে গোসাবা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সেখানে জখম মৎস্যজীবী সুর্দশন সরদারের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে কলকাতা নীলরতন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।জখম মৎস্যজীবীর জন্য সঙ্গে সঙ্গে ফরেস্ট থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
বন দফতর জানান বাঘের আক্রমণে এক মুৎস্যজীবী জখম হয়।জখম মৎস্যজীবী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তবে কিভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।জখম মৎস্যজীবীর চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।