সোজাসাপ্টা গাভাসকর , বললেন ‘সচিন-বিরাট অনেক দেখেছি, কপিলের ১৭৫*-র ধারেকাছে কেউ নেই’, ৪০ বছর আগে আজকের দিনে ইংল্যান্ডের টানব্রিজ ওয়েলস স্টেডিয়ামে উঠেছিল ‘হরিয়ানা হ্যারিকেন’ এর ঝড়। ১৯৮৩ সালটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত সে বারই প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল।আর ১৯৮৩ সালের ১৮ জুন ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক ঐতিহাসিক দিনও।৪০ বছর আগে ১৮ জুন নেভিল গ্রাউন্ডে ১৩৮ বলে ১৭৫ রানের অতিমানবিক একটি অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তখনকার ভারত অধিনায়ক কপিল দেব।জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কপিল দেব।শুরুতেই তাসের ঘরের মতো ধ্বসে যায় ভারতীয় ব্যাটিং বিভাগ।এরপর কপিল দেব ম্যাজিক দেখান। আজ কপিল দেবের সেই বিধ্বংসী ইনিংসের ৪০ বছর পূর্তি। কপিল দেবের (Kapil Dev)ওই বিধ্বংসী ইনিংস এখনও ক্রিকেট প্রেমীদের মনে গাঁথা।এই তালিকায় রয়েছেন তাঁর সতীর্থ সুনীল গাভাসকরও (Sunil Gavaskar)।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ১৭ রানের মাথায় ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারতীয় দলের মেরুদন্ড প্রায় ভেঙে দেন কেভিন কারানরা। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ভারত অধিনায়ক কপিল দেব।স্মৃতির পাতা উল্টে কপিল দেবের ১৭৫ নট আউট ইনিংস নিয়ে গাভাসকর বলেন,‘ওডিআই ক্রিকেটে ওই ইনিংসের থেকে ভালো কোনও ইনিংস আজ অবধি আমি দেখিনি।আমি সচিনের সেঞ্চুরি দেখেছি। আমি বিরাটের সেঞ্চুরি দেখেছি।আবার মাহির সেঞ্চুরিও আমি দেখেছি। বীরুর শতরানও দেখেছি। অনেকের সেঞ্চুরি দেখলেও কপিলের ওই ১৭৫ নট আউট ইনিংসটার সঙ্গে কোনও ইনিংসের তুলনায় হয় না।’কপিল দেবের ওই রেকর্ড গড়া ইনিংসে ভর করে ভারত ৮ উইকেটে ২৬৬ রান করেছিল।২৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে জিম্বাবোয়ের সেই ম্যাচে শেষ অবধি থামে ২৩৫ রানে।টিম ইন্ডিয়া ৩১ রানে সেই ম্যাচ জিতেছিল।আর ওই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন কপিল দেব।
আরও পড়ুন – দু’সপ্তাহ পরেও করমণ্ডলের চালকের কোনও খোঁজখবর পায়নি পরিবার, দাবি রিপোর্টে,
‘আমি অনেক ইনিংস দেখেছি। কিন্তু আমার মনে এখনও গেঁথে কপিল দেবের ওই ১৭৫ নট আউট ইনিংসটা।’,বক্তা লিটল মাস্টার সুনীল গাভাসকর।বছর চল্লিশ আগে কপিল দেবের অতিমানবিক ইনিংসের সাক্ষী ছিলেন গাভাসকর।সেই ম্যাচে কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্তের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন গাভাসকর।কিন্তু মাত্র ২টো বল খেলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন।সেই ম্যাচে শূন্যে ফিরেছিলেন সানি।