অবমাননার মামলা থেকে ললিত মোদীকে নিষ্কৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট ,ক্ষমাশীলতায় বিশ্বাসী আদালত। ললিত মোদীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য শীর্ষ আদালতের। শুধু মন্তব্য করা নয়, আদালত অবমাননার দায় থেকে সোমবার ললিত মোদীকে নিষ্কৃতিও দিল শীর্ষ আদালত। শিল্পপতি ললিত মোদীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদনের ভিত্তিতেই তাঁকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিাচরপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্টের জন্য ললিত মোদীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। গত ১৩ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। এব্যাপারে শিল্পপতিকে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, মানহানির নোটিস ইস্যু করার পরেও ওই ব্যক্তি ফের টুইট করেছেন। ফের তিনি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করেছেন। এদিকে সিনিয়র অ্য়াডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি ললিত মোদীর হয়ে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, গত ৩০ মার্চ ওই টুইট দুটি করা হয়েছিল। প্রথমটা সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর দ্বিতীয়টি ব্যাখ্যার জন্য করা হয়েছিল। তারপর গত ১৭ এপ্রিল ললিত মোদীর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্তে ক্ষমার আবেদন জানান সিনিয়র অ্য়াডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি। এই ধরনের কাজ আর ভবিষ্যতে করবেন না বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন – কালিয়াগঞ্জে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তদন্ত করুক সিবিআই! সায় হাই কোর্টের
এদিন ললিত মোদীকে আদালত অবমাননার দায় থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ জানায়, “আমরা নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করেছি। কারণ আদালত সর্বদা ক্ষমাশীলতায় বিশ্বাসী, বিশেষত যখন হৃদয় থেকে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন জানানো হয়। আমরা বিশেষ পর্যবেক্ষণের পর ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করেছি।” একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে তিনি যদি কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করেন, তবে কঠোর ভাবে সেটি দেখা হবে।