বেঙ্গালুরু শহর উড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা! শহর থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন ৫ জঙ্গি। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, “সেখানে একটা বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা বেঙ্গালুরু শহরে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিল।” গোটা একটি শহর উড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল। ২৬/১১-র থেকেও হয়তো ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাক্ষী হত বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। এমনই আশঙ্কা বেঙ্গালুরু পুলিশের। যদিও পুলিশ ও গোয়েন্দাদের তৎপরতায় অবশেষে সেই পরিকল্পনা বানচাল করা সম্ভব হয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হয়েছে সন্দেহভাজন ৫ জঙ্গি। বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ (CCB) তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সঙ্গে লস্কর (LeT) জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগ ছিল এবং তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের কাজের প্রশংসা করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে একহাত নিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। এই ঘটনায় NIA তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
#WATCH | There is a big conspiracy. They wanted to do serial bomb blasts in Bengaluru. This case should be handed over to NIA, says former Karnataka CM Bommai pic.twitter.com/D7n0Xm8Mkx
— ANI (@ANI) July 19, 2023
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ৫ জন ২০১৭ সালের খুনের মামলায় অভিযুক্ত। যার মধ্যে একজন ১৮ মাসের জেল হেফাজত হয়েছে। সিরিয়াল বিস্ফোরণেও এরা অভিযুক্ত রয়েছে। আবার বেঙ্গালুরু শহরে সিরিয়াল বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা করেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে সিসিবি।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনাটি ‘বড় ষড়যন্ত্র’ বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি বলেন, “সেখানে একটা বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা বেঙ্গালুরু শহরে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিল। এই মামলাটি এনআইএ-র হাতে দেওয়া উচিত।” কর্নাটক সরকারের তরফে অবশ্য এবিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
আরও পড়ুন – ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ চলাকালীন ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ,মৃত্যু অন্তত ১৫ জনের
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি. দয়ানন্দ জানান, ধৃত ৫ সন্দেহভাজন জঙ্গির নাম জুনাইদ, সোহেল, উমর, মুদাসির এবং জাহিদ। সকলেই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। এরা সিরিয়াল বিস্ফোরণে অভিযুক্ত এবং এদের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগ ছিল। বেঙ্গালুরু শহর তছনছ করার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে সিসিবি। ধৃতদের কাছ থেকে ৭টি পিস্তল, প্রচুর গুলি, একটি ওয়াকি-টকি সহ আরও আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এদের যে অস্ত্র সরবরাহ করত সে পালিয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিপি।