পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই Suvendhu Adhakary র দাপট কমানোর পরিকল্পনায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস । তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং কাঁথি কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পরে, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির সভাপতির পদ থেকেও।
জানা গিয়েছে ২০১৫ সাল থেকে প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির সভাপতির পদে ছিলেন Suvendhu Adhakary। এইপদের মেয়াদ ছয়বছর। সেই সময়সীমা শেষ হলে, তাঁকে জানো হয়েছিল সমিতির তরফ থেকে। আরও জানা গিয়েছে ২০১৯ থেকেই তিনি এই সমিতিতে ভাল যোগাযোগ রাখতে পারছিলেন না, ব্যস্ততার কারণে। পরবর্তী সময়েই তিনি পদে ইস্তফাও দিতে যান। মেয়াদ শেষ না হওয়ায় ওই পদে থেকে যেতে বাধ্য হন শুভেন্দু অধিকারী।
আর ও পড়ুন আরও ১৫ দিন বাড়ল রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ, ৩১ Aujust পর্যন্ত চলবে না ট্রেন
অবশেষে মেয়াদ শেষ হলে, নতুন সভাপতি নিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির ৫১ জন সদস্য রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ২৬ জন সমিতির সভাপতি হিসেবে Suvendhu Adhakary-র জায়গায় মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীকে বেছে নেন বলে জানা গিয়েছে।
সভাপতির দায়িত্বে মহিষাদলের Tmc বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী।এর আগে তিনি প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির কোষাধ্যক্ষের পদে ছিলেন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি জানিয়েছেন, প্রজ্ঞানানন্দ স্মৃতি ভবন মহিষাদলের আবেগের জায়গা। তিনি বলেন, স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ , সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা-সহ বিল্পবীদের স্মৃতিবিজড়িত প্রতিষ্ঠানগুলির রক্ষার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার কোষাধ্যক্ষের পদ থেকে সভপতির দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি খুশি।
আর ও পড়ুন স্বাধীনতা দিবসের আগে ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখায় জোরদার তল্লাশি Rail -এর
তিনি বলেন, মহিষাদলের স্মৃতি বিজড়িত যেসব জায়গা রয়েছে, সেগুলি রক্ষা করতে তিনি চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকেই শাসক শিবির থেকে বিভিন্ন পদে থাকা Suvendhu অধিকারীকে অপসারণে পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগেই তাঁকে কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হয়।
শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দেওয়ার এই ঘটনাকে Tmc -এর রাজনৈতিক কুট কৌশল বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।