তৃণমূল ছাড়া সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যান, গণতন্ত্র বাঁচান বললেন শুভেন্দু , পঞ্চায়েত ভোট একেবারে ভয়মুক্ত পরিবেশে হওয়া ‘কার্যত অসম্ভব’ বলেই মনে করছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক দফায় ভোট হওয়ার বদলে যদি অন্তত তিন দফায় ভোট করানো যেত, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তা সামলে দিতে পারতেন বলে মনে করছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘আগামিকাল প্রহসনের নির্বাচন হতে চলেছে। কাল নৈরাজ্যের পশ্চিমবঙ্গ লোকে দেখতে পাবে।’ শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে যাতে সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রুখে দাঁড়ান, সেই বার্তাও দেন তিনি। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে শুভেন্দুর বার্তা, ‘আগামিকাল তৃণমূল ছাড়া সবাই মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়ে যেখানে পারবেন, যতটা পারবেন গণতন্ত্র রক্ষা করুন।’
তবে ভোটের ঠিক আগের দিন তৃণমূল ছাড়া সবাইকে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ার পিছনে কী বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু? তিনি কি তৃণমূল বিরোধী সবাইকে অর্থাৎ বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা হওয়ার বার্তা দিলেন? সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। যদিও তাঁর ব্যাখ্যা, এমন কোনও বার্তা তিনি দিচ্ছেন না। শুভেন্দুর বক্তব্য, যেহেতু ভোটের প্রচার পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই কোনও নির্দিষ্ট প্রতীকের পক্ষে ভোটের জন্য তিনি বলতে পারেন না। বললেন, ‘যারা লুঠ করতে চায়, তারা বাদ দিয়ে বাকি ভোটাররা জোট বাঁধুন। প্রার্থী, এজেন্ট কোন দলের দেখার দরকার নেই। যাঁরা লুঠ আটকাতে চান, তাঁরাই মানবপ্রাচীর তৈরি করুন। মানুষের গণপ্রতিরোধ তৈরি হোক। এই আবেদন করতে চাই।’
আরও পড়ুন – ‘কাল রাস্তায় থাকবেন রাজ্যপাল’ রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েই জানিয়ে দিলেন সি ভি আনন্দ…
এদিন বিকেলে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বললেন, ‘পঞ্চায়েতের মধু খাওয়ার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে আমি বলব না। কিন্তু পঞ্চায়েতের মধু বাদ দিলেও, গ্রামীণ এলাকায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বহু জায়গায় প্রতিরোধ হবে। এই প্রতিরোধই পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শেষ আশা ও ভরসা।’ আর সেই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মানুষকে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেই ভাবে প্রতিরোধ করা জন্য।