‘সরকার যে কর্মসূচি করেছিল বিরোধী দলনেতাকে ডাকলে, আলাদা করে কর্মসূচি করতে হত না বললেন শুভেন্দু , রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়াদের কিছুদিন আগেই ঘটা করে সংবর্ধনা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে বিরোধীরা ডাক পাননি। তাই সোমবার আলাদা করে কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, সিবিএসই দশম-দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা, আইসিএসই ও আইএসসি কৃতী পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এদিনের অনুষ্ঠানে। আর সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘সরকার যে কর্মসূচি করেছিল, তাতে যদি বিরোধী দলনেতা বা বাকি বিধায়কদের ডাকা হত, তাহলে আমাকে আলাদা করে এখানে কর্মসূচি করতে হত না। তখনই তাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে যেত এবং তাদের সবাইকে আমি নমস্কার জানাতে পারতাম।’
শুভেন্দু বললেন, ‘আমরা সকলেই চাই রাজ্যের কৃতীদের সংবর্ধিত করতে, হাত মেলাতে।’ পড়ুয়াদের এই সময়ের ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁদের হাতে এক মুহূর্ত সময় নেই, যে তাঁরা বারে বারে গিয়ে একটি গোটা দিন ব্যয় করবেন। তাঁদের ডিস্টার্ব করাও উচিত নয়।’ এরপরই শুভেন্দু রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেন, সরকারি কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা ও অন্যান্য বিধায়কদের না ডাকা নিয়ে।
আরও পড়ুন – বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে,কুস্তি কর্তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন…
সরকারি অনুষ্ঠানে কৃতীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পর্বে উপস্থিত থাকার সুযোগ না পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘আমারও ইচ্ছা হয়। আমিও পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি ২৮ লাখ জনগণের প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা আমার হয়। সেই ইচ্ছা পূরণের জন্যই এই ছোট্ট উদ্যোগ।’ বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘অনেক সময় সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না। আমরা সকলকে আমন্ত্রণ করতে পারিনি। আমরা ৫২ জনকে আমন্ত্রণ করেছিলাম। তার মধ্যে ৪০-৪২ জন আসতে পেরেছেন। কয়েকজন অভিভাবকও এসেছেন। যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের বাড়িতে স্মারক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’