আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক শুভেন্দু ,‘দিনে নয়, রাতে পেটানোর পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশই’,রাজ্য পুলিশ না কেন্দ্রীয় বাহিনী? পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার সংক্রান্ত মামলা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন।সোমবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে।শুনানির প্রথমার্ধেই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল,কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর ব্যাপারে ভাবতে পারে কমিশন। আদালত যখন এ কথা বলছে, শুনানির প্রথমার্ধ শেষেই আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন,“বাংলার ৭০ টি ব্লকে যাতে একটাও নমিনেশন ফাইল না হয়,তার ব্যবস্থা গুন্ডাদের নিয়ে পুলিশ করেছে।”পুলিশ শীর্ষ কর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে অধঃস্তনদের ‘দুবৃত্তায়নের’ নির্দেশ দিচ্ছেন বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন,“আমি দু’জন এসপি-র ইন্টারন্যাল মিটিংয়ের কথা বলছি।বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে কথাগুলো বলছি।এসপি ডায়মন্ডহারবার,তিনি সব ওসি আইসিদের নির্দেশ দিয়েছেন,বিডিও অফিসের বাইরে কোনও গোলমাল করতে দেবেন না,যাতে মিডিয়াতে না আসে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক চমক দেওয়া হচ্ছে, যাতে কেউ নমিনেশন ফাইল না করে,আর করলেও প্রত্যাহার করে নেন।এমন ব্যবস্থা করুন আপনারা।”
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের ক্ষমতার বিষয়ে সতর্ক করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোরও পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,‘‘নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মোতায়েন করলে ভাল হয়।রাজ্য নিজের মতো বাহিনী দেবে।ধরুন,কলকাতা থেকে পুলিশ হুগলি এবং হাওড়ার পাঠালেন। সে ক্ষেত্রে শহরে তো বাহিনী কম পড়তে পারে।তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন কমিশনের।’’নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ থাকবে না বাহিনী,সে ব্যাপারে অবশ্য কমিশনের কোর্টেই বল ঠেলেছে আদালত।যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন – মনোনয়ন জমা দেখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
শুভেন্দু আরও বলেন,“আমাদের কাছে একাধিক ওসি,আইসি অভিযোগ করেছেন”বসিরহাটের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।শুভেন্দুর বক্তব্য,“এসপি মিস্টার থমাস,তিনি বসিরহাটের পুলিশ সুপার।তিনি ওসি,আইসিদের বলেছেন,সন্দেশখালি-ন্যাজাট-হিঙ্গলগঞ্জে শাহাজাহান সাহেবকে গিয়ে বলুন,রাতে গিয়ে ঘর ভাঙতে,পেটাতে।দিনে করতে না।”রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন,“এই দুবৃত্তায়ন যদি এসপি-রা করেন, তাহলে বাংলার গণতন্ত্র কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে?