ময়নায় স্থানীয় নেতাদের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলালেন শুভেন্দু ,ময়নায় বিজেপি বুথ সভাপতিকে ‘খুনের’ প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন পদ্মশিবিরের স্থানীয় নেতারা, যার জেরে তৈরি হয়েছিল তীব্র যানজট। রাস্তায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আটকে থাকায় নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল যাত্রীদের। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সেই অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুপুর ১টার সময় ময়নার স্থানীয় বিজেপির তরফে ওই পথ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে বুধবার ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাকও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
বিজেপি বুথ সভাপতির মৃত্যুর জন্য তৃণমূল নেতা সোমেন মহাপাত্র এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলের ক্ষমতা এখানে তলানিতে। ময়নার বাগচায় ক্ষমতা ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর তিনটি পুলিশ এই পরিকল্পনা করেছে। অমরনাথ, হাসান এবং প্রাক্তন ওসি গোপাল। আর প্রকাশ্যে উস্কানি দিয়েছেন, সোমেন মহাপাত্র, সংগ্রাম দোলুই, শেখ শাহজাহান, উত্তম বারিক, মনোরঞ্জন হাজারারা। আমরা পুলিশ, তৃণমূল নেতা এবং প্রত্যক্ষ দোষীদের শাস্তির দাবিতে মামলা করব।’’
দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনারা ১টার সময় অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেবেন। অনেক গাড়ি আটকে রয়েছে। আগামী কাল আবার বন্ধ হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে বন্ধ করবেন। আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না।’’
আরও পড়ুন – ‘এটা কি ছেলেখেলা চলছে?’, পুলিশের উপর বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট
একই সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বুধবার ময়না এলাকায় বন্ধ হবে। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুরের একশো জায়গায় অবরোধ চলবে। আগামী পরশু দিন সিবিআই তদন্তের দাবিতে এবং বিজয়কৃষ্ণকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কালো ব্যাজ পরে ১৫ হাজারের মিছিল হবে। বুধবারই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের পরিবার। রাজ্য সরকারের হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে দেব না। নন্দীগ্রাম-সহ বহু এলাকা ঠান্ডা করেছি। এখানেও ঠান্ডা করে ছাড়ব। শেষ দেখে ছাড়ব। দেখতে থাকুন।’’