মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শুভেন্দু বললেন, ‘মমতাকে পুনর্জন্ম দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী , তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘মমতাকে পুনর্জন্ম দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী।’ বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘উনি যখন ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি দল গঠন করেন, তখন উনি কোথায় যাবেন কেউ জানত না। বিজেপির মার্গদর্শক নেতা ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী ওনাকে শেল্টার দিয়েছিলেন। ওনাকে পরিচিতি দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। উনি কংগ্রেসকে প্রথমে লাথি মেরেছেন। আর ওনাকে রাজনীতিতে পুনর্জন্ম দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মাথার ছাদ দিয়েছে বিজেপি।’
উল্লেখ্য, এদিন বিধানসভায় পঞ্চায়েত হিংসার ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। সেই মুলতুবি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আলোচনায় বক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীরা। মমতার বক্তব্য নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ উঠতেই হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে। তীব্র আপত্তি জানায় বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য়, তারা আগে যখন বিভিন্ন ইস্য়ুতে কথা বলতে চেয়েছিল বিধানসভায়, তখন তাদের বিচারাধীন বিষয় বলে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাহলে নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফলের মতো বিচারাধীন বিষয়ে কেন আলোচনা হবে? কেন একযাত্রায় পৃথক ফল? তা নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।
আরও পড়ুন – বিধানসভায় কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ মমতার, বললেন ‘আমাদের কাছেও সোর্স আছে’,
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করে যান বিজেপি বিধায়করা। পরে বিধানসভায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের শাসক শিবিরকে তুলোধনা করেন শুভেন্দুরা। সেই সময়েই শুভেন্দু দাবি করেন, মমতার রাজনৈতিক পুনর্জন্ম হয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরেই।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, যদি অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় তৃণমূল নেত্রীকে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব না দেওয়া হত, তাহলে তিনি আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে পারতেন না। বিজেপির লোকেরা ভোট দিয়েছিল বলেই ১৯৯৮ সালে মমতার তৃণমূল ৯টি আসন পেয়েছিল এবং ১৯৯৯ সালে ৮টি আসন জিতেছিল। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘অটল বিহারী বাজপেয়ীর দয়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পুনর্জন্ম হয়েছে।’