রেশন দুর্নীতি কান্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই এই নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। এবার এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভুমিকা খতিয়ে দেখার জন্য ইডির ডিরেক্টরকে আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ওই আর্জি জানান তিনি। শুক্রবার নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্য় ও সরবরাহমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজর থেকে বাঁচাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ২০২১ সালে খাদ্য় ও সরবরাহমন্ত্রী করেননি।
আরও পড়ুনঃ জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই পূর্বে গ্রেফতার মন্ত্রী-বিধায়কদের তালিকা প্রকাশ শুভেন্দুর, পাল্টা কুণাল
শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় চেয়েছিলেন জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক বেআইনিভাবে টাকা তুলুন এবং তার অংশ নির্দিষ্ট ব্য়ক্তিদের কাছে পাঠান। সেই জন্য় জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে মুখ্যমন্ত্রী ধান ও অন্য়ান্য় খাদ্য় শস্য় কেনা ও সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটিস সাপ্লাই কর্পোরেশনের চেয়ারম্য়ান করেন, এমনই অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে। ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী। ২০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষা দুর্নীতিতে পার্থর পর এবার রেশন দুর্নীতিতে ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে।
ইডি সূত্রের খবর, বাকিবুর ও মন্ত্রীর পিএকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক গুরত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।। কিন্তু, তদন্তে অসহযোগিতা করেন মন্ত্রী, বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলেও ইডি সূত্রে দাবি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের মোবাইল ফোন। ওই সূত্রের দাবি, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে মন্ত্রীর মোবাইল। এদিকে গোটা বিষয়টি বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়।
কার্যত নজিরবিহীনভাবে, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির অভিযান চলাকালীনই সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দেখুন কো-অপারেটিভ ফেডারেলিজম দ্য় স্ট্রাকচার মে নট ডিসটার্বড। দেশের পরম্পরা রক্ষা করা আপনারও কাজ। যদি না জানেন দেখে নিন, জেনে নিন কী হচ্ছে দেশে। হয় বন্ধ করুন বা চালু রাখুন। রাজ্য়ের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমাদের রাজ্য় থেকেও ৩-৪ জন আছেন। আমি জানি তারা কী করেন না করেন। এভাবে দেশ চলে না।’