নিয়োগ দুর্নীতীর টাকা কোথা থেকে এসেছে, কোথায় গিয়েছে, তার সন্ধানে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামল সিবিআই , নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে গত ২ মার্চ এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি। হাই কোর্টের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতির অজানা সূত্রের সন্ধানে নতুন এফআইআর দায়ের করল সিবিআই।
গত ২ মার্চ এ বিষয়ে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল এস. বসু রায় এন্ড কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সংস্থাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে উল্লেখ করেছিল। সূত্রের খবর, এই মামলার তদন্তের সূত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন অ্যাড হক কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতেও নিতে পারবে। তবে তৎকালীন অ্যাডহক কমিটিতে একজন অশিতীপর মহিলাও ছিলেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন – ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির
শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০২০ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, মূলত সেই প্রক্রিয়াতেই বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকার অভিযোগে এই মামলা। মোট ১৬ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করেছে হাই কোর্ট। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই তদন্ত করবে সিবিআই।