নগদ এবং চেক দু’ভাবেই কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল-গোপালরা, দাবি CBI এর ,চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কী ভাবে নেওয়া হতো টাকা? কী ভাবেই বা তার লেনদেন চলত? এবার তা নিয়ে নতুন খবর জানতে পারল সিবিআই। সূত্রের খবর, বেনিয়মে চাকরি পাওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীরা যে টাকা দিত, তার নগদের অংশ যেত কুন্তলের কাছে। অন্যদিকে, চেক মারফত কোনও টাকা এলে তা ভাঙাতো গোপাল দলপতি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখেই প্রথমবার উঠে আসে গোপাল দলপতির নাম। তারপর থেকে এই গোপালও দুর্নীতি চক্রর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল প্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার চেক নিতেন, কিন্তু নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেগুলি ভাঙাতেন না। সেই চেক যেত গোপাল দলপতির কাছে। গোপাল তাঁর একটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সেই চেক ভাঙিয়ে নগদ করে দিতেন। কুন্তলের অভিযোগ, সেইখান থেকেই টাকা সরিয়েছে গোপাল।
বুধবার দুটি চিট ফান্ড মামলায় শহর ও হাওড়ার ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। একটি চিটফান্ড মামলায় আলিপুরের বর্ধমান রোডের এক আইনজীবীর বাড়িতে ইডি দীর্ঘ আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালায়। সেই সময় ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে মোতায়েন ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানেরা। গেটের বাইরে ছিল কলকাতা পুলিশ। ছিলেন আলিপুর থানার ওসি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, উইনার্স টিম, আর্মড পুলিশ ও লালবাজারের ফোর্স সহ বিশাল টিম। ফ্ল্যাট কমপ্লেক্সের সিকিওরিটি গার্ড উত্তম চক্রবর্তী বলেন, “সেকেন্ড ফ্লোরে আইনজীবীর বাড়িতে ইডি-র জনা পাঁচেক অফিসার এসেছেন সকালে। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও রয়েছে।” ইডির তল্লাশির সময় আইনজীবী বাড়িতেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
কুন্তলকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে চেক এবং নগদে প্রায় প্রায় আট কোটি টাকা এসেছে কুন্তল ও গোপালের কাছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং লেনদেন ও নথি ঘেঁটে ও কুন্তলকে জেরা করে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে এই নয়া তথ্য।
আরও পড়ুন – বেঙ্গল কেমিক্যাল মেট্রো স্টেশনের গায়ে নান্দনিক ‘ওয়াল আর্ট’
সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে প্রায় পঞ্চাশ হাজার করে চার বার গোপালকে টাকা দিয়েছিল কুন্তল। ২০২১ সালে কুন্তল ফের গোপালকে ৭০ হাজার টাকা দেন। গোপাল তিহার জেল থেকে জামিন পাওয়ার পরে সেই টাকা নিয়েছিল বলে সিবিআইয়ের জেরায় দাবি করেছে কুন্তল।