ফাঁক বুঝে ভরা এজলাস থেকে ফাঁক গলে পালাল আসামী। ফাঁক বুঝে ভরা এজলাস থেকে ফাঁক গলে পালাল আসামী। শুক্রবার দুপুরের কাটোয়া মহকুমা আদালতের এজলাস থেকে এভাবে ধর্ষণের মামলার আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে হুলস্থুল কাণ্ড বেধে যায়। জানা যায়, প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ১২ বছর আগের ওই ধর্ষণের মামলার রায় শোনার জন্য অভিযুক্তও হাজির হয়েছিল আদালতে।
সেই মামলায় বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন অভিযুক্তকে। আর শোনার পরেই ফাঁক বুঝে ভরা এজলাস থেকে ফাঁক গলে চম্পট দিল আসামী। আদালতে উপস্থিত আইনজীবী ও অন্যান্য কর্মীদের দাবি, জীতেন মাঝি নামে ওই আসামীকে পাকড়াও করতে তার পিছনে কয়েকজন ছুটেও ছিলেন। কিন্তু কেউ তার নাগাল পাননি। পুলিশ তার সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে।
জানা যায়, কেতুগ্রাম থানা এলাকার ওই ঘটনাটি প্রায় ১২ বছর আগের। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধী বালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে জীতেন মাঝির বিরুদ্ধে। কেতুগ্রাম থানায় নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত জীতেন মাঝিকে গ্রেফতার করে। তখন মাসদেড়েক জেল হেফাজতে ছিল অভিযুক্ত। তারপর জীতেন জামিনে ছাড়া পায়।আদালত সূত্রে জানা যায় ধর্ষণের মামলার শুনানি শেষ হয় গতবছর নভেম্বর মাসে। এদিন ছিল মামলার রায়দান। দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতের জেলা জজ ও দায়রা আদালতের (প্রথম) বিচারক সুকুমার সূত্রধরের এজলাসে আইনজীবীকে সঙ্গে করে অভিযুক্ত জীতেন মাঝি হাজির হয়েছিলেন। বিচারক জীতেনকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন।
কাটোয়া মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবি প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, ” ওই আসামী জীতেন মাঝি ধর্ষণের মামলায় জামিনে মুক্ত ছিল। এদিন মামলার চূড়ান্তপর্বের শুনানীর জন্য তার আইনজীবি জীতেনকে আদালতে পেশ করেছিলেন। কাটোয়া অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা আদালতে (প্রথম) বিচারক মামলায় জীতেন মাঝিকে দোষী সাবস্ত করেন। সেটা শুনেই ওই অভিযুক্ত আদালত থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়।”
আরও পড়ুন – শশী, জয়প্রকাশ, সায়ন্তিকা-র নিশানায় শুভেন্দু
আসামীপক্ষের আইনজীবী নির্মল মণ্ডলের দাবি,” আজ রায়দান বলে আসামী জীতেন মাজিকে হাজির করিয়েছিলাম। ওকে দোষী সব্যস্ত করেন বিচারক। শনিবার সাজাঘোনণার দিন ছিল। জীতেনকে শোনানোও হয় তার সর্বনিম্ন ১০ বছর এবং সর্বোচ্চ যাবৎজীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। এরপর আসামীকে আমি আদালতের লকআপ পর্যন্ত পৌছে দিয়ে আমি নিজের কাজে চলে যাই। সেখান থেকে আসামী জীতেন মাজি পালিয়ে যায়।” পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।”