চাকরিপ্রার্থীদের রাজপথে আন্দোলনের এক বছর হতে চলল। আদালতেও চলছে মামলা। কবে মিলবে নিয়োগ, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলেও। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker Biman Banerjee)।
আরও পড়ুন: মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তাঁর (Speaker Biman Banerjee) পরামর্শ, এভাবে রাস্তায় বসে না থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গিয়ে পড়ান! মানুষ গড়তে কীসের সার্টিফিকেট লাগে (go to school instead of sitting on the streets)!
স্পিকারের কথায়, ‘আমি বলব রাস্তায় বসে না থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাক।’ কিন্তু কীভাবে যাবে? সরকারি নিয়োগপত্র ছাড়া কেউ কি স্কুলে পড়াতে পারেন? জবাবে স্পিকার বলেন, ‘কাউকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না। কেউ যদি মনে করে ছাত্র তৈরি করবেন তার জন্য কিসে লাগে সার্টিফিকেট? (go to school instead of sitting on the streets)’
স্পিকারের এমন মন্তব্য শোনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে। তাঁদের একাংশের মতে, নিয়োগে দুর্নীতি না হলে এভাবে চাকরির দাবিতে তাঁদের রাজপথে দিনের পর দিন ধর্নায় বসে থাকতে হত না। নিজেদের সরকারের গাফিলতি ঢাকতে স্পিকার বিষয়টিকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
চাকরি প্রার্থীদের কথায়, শিক্ষক সমাজ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই শিক্ষকেরও তো নিজের জীবন ধারণের জন্য অর্থ প্রয়োজন। সেজন্যই তো সরকারি স্কুলে পড়ানোর যোগ্য হিসেবে তাঁরা নিজেদের গড়ে তুলেছেন। এখন সরকার তাঁদের যোগ্যতা থাকাসত্ত্বেও স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা না করে দিলে তাঁরাই বা নিজেদের ভরণপোষণ টিকিয়ে রাখবেন কী করে? শিক্ষক সমাজ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই শিক্ষকেরও তো নিজের জীবন ধারণের জন্য অর্থ প্রয়োজন। সেজন্যই তো সরকারি স্কুলে পড়ানোর যোগ্য হিসেবে তাঁরা নিজেদের গড়ে তুলেছেন। এখন সরকার তাঁদের যোগ্যতা থাকাসত্ত্বেও স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা না করে দিলে তাঁরাই বা নিজেদের ভরণপোষণ টিকিয়ে রাখবেন কী করে?
সূত্রের খবর, ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে শিক্ষক নিয়োগের ভাবনা ছিল রাজ্যের। এই বিষয়ে এদিন স্পিকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এই মন্তব্য করেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একই সঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিয়োগের বিষয় মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার কথা বলেছেন। প্রক্রিয়া চলছে।’