বীরভূম থেকে দুর্নীতি উপড়ে ফেলার চ্যালেঞ্জ! এদিন নলহাটিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সেই সময় তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের মন্তব্যে ভয় পেয়ে গিয়েছে মমতার পুলিশ। তিনি বলেন উচ্চ আদালত বলেছে, এফআইআর-এর ড্রাফ্টিং কে করেছে? শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, এফআইআর-এর ড্রাফ্টিং করা হয়েছে আইসি সিউড়ির চেম্বারে। যখনও বলা হয়, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আর কী কী মামলা রয়েছে, সব দিতে হবে, সেই সময়ই জেলার পুলিশ মহলের ওপর তলা থেকে নিচু তলা পর্যন্ত ভয় পেয়ে যায়।
আদালত সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেওয়ায় কেষ্টবাবুর তিহার যাত্রা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেও মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন কেষ্টবাবু তিহারে যাবেন, সঙ্গে আরও অনেকেই যাবেন।
পিসি-ভাইপোর স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা হলেই তৃণমূলের গুণ্ডামী বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, এদের দুটো-তিনটে স্তরে গুণ্ডা রেডি করা থাকে। কেষ্টর পরে রানা, রানার পরে বিকাশ। তিনি বলেছেন, এটা উপড়ে ফেলতে গেলে চোরেদের মহারানিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের মধ্যে থেকে শিক্ষা দিতে হবে। এই সরকারকে না সরালে মেধাযুক্ত, ঘুষমুক্ত কর্মসংস্থান রাজ্যে হবে না, বলেছেন বিরোধী দলনেতা।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন দাবি করেছেন, তৃণমূলের আমলে শিক্ষায় যে ৫৮ হাজার চাকরি হয়েছে, তার মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে খুব বেশি হলে ৫ হাজার জনকে।
আরও পড়ুন – মিঠুনের সেটে খাবার দিতেন বাবা, এখন আমি তাঁর সিনেমার প্রযোজক : দেব
তৃণমূলের নেতা রয়েছেন ৮-১০ হাজার আর বাকি সবার চাকরি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে। তাঁর অভিযোগ এই চাকরি বিক্রির ৭৫ ভাগ টাকা কলকাতায় তৃণমূলের হেড কোয়ার্টারে গিয়েছে। আর ২৫ ভাগ টাকা পার্থ-মানিকের মতো নেতারা ভাগ করে নিয়েছেন। এদিন নলহাটির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আসানসোল জেলে বসে অনুব্রত মণ্ডল ফোন করেছেন। যার প্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বীরভূম থেকে